পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চত্বরে আটটি কুকুরছানাকে বস্তায় ভরে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগে নিশি খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৯-এর ৭ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী নিশি বেগমকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার এটিকে “অমানবিক” উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার এনিমেল অ্যাকটিভিস্ট কমিটির একটি তদন্ত দল ঈশ্বরদীতে পৌঁছে ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করে।
নৃশংস ঘটনার জেরে অভিযুক্তের স্বামী নয়নের পরিবারকে সরকারি কোয়ার্টার ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউএনও জানান, মঙ্গলবারই তাদের বাসা খালি করতে বলা হয় এবং পরিবারটি ইতোমধ্যে সরকারি কোয়ার্টার ত্যাগ করেছে।
গত রোববার সন্ধ্যার পর নয়নের স্ত্রী নিশি খাতুনের বিরুদ্ধে কুকুরছানাগুলোকে বস্তায় ভরে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে।
ইউএনও কার্যালয়ের কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোমবার সকালে কর্মকর্তা দম্পতির ছেলে তাকে জানায়—তার মা নিজ হাতে ছানাগুলোকে পুকুরে ফেলে দেয়। পরে পুকুর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় আটটি মৃত ছানা উদ্ধার করা হয়।


















