টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা :
টাঙ্গাইলে আইনজীবীর সহকারী খাদিজা আক্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাশেদুল রহমান রাশেদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ এর সদস্যরা।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে সাভার থানার আমতলা মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত রাশেদুল টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নলখোলা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানী কমান্ডার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, আইনজীবী সহকারী খাদিজা আক্তার এবং রাশেদুল রহমান দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা পরিবারের কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন।
পরে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে শহরের বটতলা এলাকায় হেলালুজ্জামানের বাসার তৃত্বীয় তলা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর খাদিজার বড় বোন এবং ভাগিনা ওই বাসায় গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান।
পরে তারা বাড়ির মালিকের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে খাদিজার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার পর থেকেই মো. রাশেদুল রহমান পলাতক ছিলেন।
পরদিন নিহতের বড় ভাই ইমান হোসেন বাদি হয়ে মো. রাশেদুল রহমানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের আমতলা মোড় এলাকা থেকে রাশেদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাশেদুল র্যাবের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি জানান, খাদিজার সাথে সম্পর্কের অবনতি ও আর্থিক লেনদেনের কারণেই তাকে হত্যা করা হয়।
পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত রাশেদুলকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাং ভ/অ