মোঃ সাজ্জাদ হোসেন হাকিম, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা :

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় যৌতুকের দাবিতে রাবেয়া খাতুন (১৯) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিহতের বাবা উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুরের এলংজানি গ্রামের রুহুল আমীন জানান, বিয়ের পর থেকেই স্বামী হৃদয় হাসান বকুল (৩৩) যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করতেন। একাধিকবার টাকা-পয়সা দেওয়া হলেও নির্যাতনের মাত্রা কমেনি। সর্বশেষ ৮ মে রাবেয় কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে পরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী হৃদয় হাসান বকুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বলুক উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের ভৈরব গ্রামের খালেকের ছেলে। মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন—শ্বশুর আব্দুল খালেক (৪৮), শাশুড়ি বুলবুলি খাতুন (৪৩), ইমন হাসান (২২), আব্দুল হানিফ (৪০), দেলোয়ারা খাতুন দুলালী (৩৬), হায়দার আলী (৩৪) ও সুমনা খাতুন (১৯)।

নিহতের বাবা অভিযোগ করেন, “আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথচ পুলিশ এখনো যারা পলাতক রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করেনি, বরং মামলায় আপোষ করার জন্য চাপ দিচ্ছে।” তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা ন্যায়বিচার চাই।”

এলংজানি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, “এটি নিছক আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। অথচ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শুরু থেকেই বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বলেন, “বাদীকে আপোষে যেতে কোনো চাপ দেওয়া হয়নি। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে এবং শিগগিরই চার্জশিট দেওয়া হবে।

Exit mobile version