বাংলা ভয়েস ডেস্ক :
বাংলাদেশের মানুষ যাতে ভালো না থাকে সেজন্য ভারত বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া। এসব চলতে থাকলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওপর দিয়ে করিডোর নিয়ে করা সড়ক দিয়ে ভারতীয় গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে সদর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন সেলিম ভূঁইয়া।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওপর দিয়ে করিডোর নিয়ে যে সড়ক করা হয়েছে তা দিয়ে ভারতীয় গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। বিগত ১৫ বছরে ভারতের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের সকল চুক্তি বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি। কারণ দেশের মানুষ ভারতের প্রভুত্ব মেনে নেবে না।
অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে ভারত বাংলাদেশকে শোষণ করেছে। তারা এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে মানুষকে বিকৃত ভুল ইতিহাস শিক্ষা দিয়েছে।
বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তবে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। আর এই স্বাধীনতার সুফল বয়ে আনতে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন। কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলারা বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে থেকে নানা ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। তারা অন্তবর্তী সরকারকে কুপরামর্শ দিয়ে সংস্কারের নামে নির্বাচনে বিলম্ব করে দেশকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু বিএনপি এই ষড়যন্ত্র হতে দেবে না।’
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। যার মাধ্যমেই গড়ে উঠবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
সম্মেলনে সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মো. শামীম, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন যথাক্রমে অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম খান রুমা ও মো. আলমগীর হোসেন। রুমা পেয়েছেন ৪০৪ ভোট ও আলমগীর ৫১০ ভোট। এই সম্মেলনে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা উৎসবমুখর পরিবেশে মিছিল নিয়ে অংশ নেয়।