বাংলা ভয়েস ডেস্ক :

ইসরাইলের সঙ্গে চলমান সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ইরান। তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরের সিসি ক্যামেরা হ্যাক করছে দেশটি- এমন অভিযোগ নেতানিয়াহু প্রশাসনের।

ইসরাইল বলছে, ইরান থেকে ব্যালিস্টিক হামলা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে কি না, তা যাচাই করছে তেহরান। সাধারণ মানুষকে তাই সিসি ক্যামেরার শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষে ধরাশায়ী করতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে ইরান। ইসরাইলের সঙ্গে চলমান সংঘাতে এবার সিসিটিভি হয়ে উঠেছে ইরানের গোপন হাতিয়ার। ইসরাইলের দাবি, তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরের সিসিটিভি হ্যাক করে ব্যবহার করছে ইরান।

ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে বলেছে, বেসামরিক সিসিটিভি সিস্টেম হ্যাক করে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার তথ্য সংগ্রহ করছে ইরান। পরবর্তী হামলা কোথায় হতে পারে এবং সঠিক স্থানে নির্ভুলভাবে আঘাত হানার বিষয়টিও তারা এসব সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঠিক করছে। 

ইসরাইলের জাতীয় সাইবার ডিরেক্টরেটের সাবেক উপপরিচালক রাফায়েল ফ্রাঙ্কো দাবি করেন, গত কয়েকদিন ধরে ইরান ক্যামেরা হ্যাক করে তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে, কোথায় ঠিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।

ব্লুমবার্গ বলছে, সিসিটিভি ব্যবহারকাদের অনেকে এখনো ডিফল্ট পাসওয়ার্ড বদলাননি, যা হ্যাকারদের জন্য কাজটি আরx সহজ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেক বাসিন্দা ক্যামেরার ফুটেজ অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করেন, যা ইরানকে সুবিধা দিচ্ছে। 

২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, ইসরাইলের ৬৬ হাজার ক্যামেরার নিরাপত্তাই ছিল দুর্বল। এসব সিসি ক্যামেরা থেকে পাওয়া তথ্য সামরিক ঘাঁটি, সীমান্ত কিংবা শহরে সেনা চলাচলের বিষয়গুলো ইরানের কাছে উন্মুক্ত করে দেয়।

ব্লুমবার্গ আরো জানিয়েছে, শুধু ইরান নয়, একই কৌশল ব্যবহার করেছে হামাস ও রাশিয়া। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার আগে হামাস গাজা সীমান্তে হাজার হাজার ক্যামেরা হ্যাক করে বিশাল তথ্য সংগ্রহ করে বলে দাবি করেছে গণমাধ্যমটি। রাশিয়াও ইউক্রেন যুদ্ধে এই কৌশল ব্যবহার করে সামরিক চলাচল শনাক্ত করেছে। 

গত ১৮ জুন ইরানের দুটি প্রধান ব্যাংকে ভয়াবহ সাইবার হামলা চালায় ইসরাইলের হ্যাকিং গ্রুপ ‘প্রিডেটরি স্প্যারো’। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ছিল এক পরিকল্পিত ডিজিটাল আক্রমণ। এরই ধারাবাহিকতায় এখন ইরানও ক্যামেরা হ্যাক করে সুনির্দিষ্ট হামলার লক্ষ্য ঠিক করছে।

Exit mobile version