বাংলাদেশে “চেতনার রাজনীতি” দিয়ে আর মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় যুবশক্তির প্রতিনিধি সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “জামায়াতে ইসলামী মুখে মুখে বিপ্লবের কথা বললেও অন্তরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ধারণ করে।” অতীতে জামায়াত কিছু ভালো কাজ করলেও তা স্থায়ী হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পাটওয়ারী বলেন, ডাকসু নির্বাচনের মাত্র দুই মাসের মধ্যেই জামায়াতের “মুখোশ” খুলে পড়েছে। তার দাবি, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোট ব্যবহার করে হেলিকপ্টারে সারা দেশে ঘুরে জামায়াত–সংশ্লিষ্ট প্রচারণা চালাচ্ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন করে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “২০০১ থেকে ২০০৬ সালের রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার জন্য বিএনপি দায়ী। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসন দীর্ঘায়িত হওয়ার পেছনেও বিএনপির ব্যর্থতা ভূমিকা রেখেছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিএনপি এখন নতুন করে “মুক্তিযুদ্ধের কার্ড” ব্যবহার করছে, যেটা তাদের মুখে কখনো আন্তরিকভাবে উচ্চারিত হয়নি। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগকে “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যবসায়ী” বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল তারা। আগে এক প্লেটে বসে খেত, এখন প্লেট আলাদা হলেও হাঁড়ির তরকারি এক। দুর্নীতিতে তারা সবাই সমান দায়ী।”
অনলাইন হুমকির বিষয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “আমাদের ভয় দেখানো হয়, কিন্তু সেই ভয় আসে লন্ডন থেকে। আমরা বাস্তবে কাউকে ভয় পাই না।”
তিনি আরও বলেন, “৩০০ গডফাদার দিয়ে পার্লামেন্ট দখলের চেষ্টা চলছে। যারা দেশে এসে রাজনীতি করতে ভয় পায়, তাদের জনগণকে লাল কার্ড দেখাতে হবে।”


















