ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ নিরপেক্ষ হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র প্যানেলের কেন্দ্রীয় সদস্য পদপ্রার্থী মো. সজীব হোসেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি নিজ হাতে জিএস প্রার্থী সম্রাটকে ভোট দিলেও ফলাফলে তার ভোট শূন্য দেখানো হয়েছে। আমার প্রশ্ন—আমার ভোট গেল কোথায়? যদি ব্যালট বাতিল হয় তবে তা প্রকাশ করতে হবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে। অনেকেই ১ মিটারের মধ্যে ভোটার স্লিপ প্রদান করেছেন, কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এটি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের প্রমাণ বলে দাবি করেন তিনি। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদপ্রার্থী রাকিব হোসেন গাজীও একই ধরনের অভিযোগ তোলেন।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ভিপি পদে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা ৩ হাজার ৩৮৯ এবং শামীম হোসেন ৩ হাজার ৬৮১ ভোট পেয়েছেন। জিএস পদে বিজয়ী হয়েছেন এস এম ফরহাদ (১০,৭৯৪ ভোট)। এজিএস পদে জয়ী হয়েছেন মহিউদ্দীন খান (১১,৭৭২ ভোট)।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ফাতেমা তাসনিম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইকবাল হায়দার, কমন রুম-রিডিং রুম সম্পাদক পদে উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে জসীমউদ্দিন খান, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আরমান হোসেনসহ বেশিরভাগ পদে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
তবে তিনটি সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেন। তারা হলেন—সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সানজিদা আহমেদ তন্বি এবং সমাজসেবা সম্পাদক যুবাইর বিন নেছারী।
নির্বাচনের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছেন ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ও উমামা ফাতেমা। এছাড়া আব্দুল কাদেরও ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ২৮টি ডাকসু পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৭১ জন প্রার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে মোট ২৩৪টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। ৩৯ হাজার ৮৭৪ শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।