ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে এমনটা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপিসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো।
এঅবস্থায় বিএনপির জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ প্রার্থী বাছাই। কারণ ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর প্রতি আসনে বিএনপির হয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী অসংখ্য প্রার্থী ইতোমধ্যে গণসংযোগে নেমেছেন।
এই আসনে প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ ভোটার, তিনটি ইউনিয়ন যদি অন্য আসনের সাথে যোগ হয় সেক্ষেত্রে ভোটার সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে।
সরকারের পতনের পর ঢাকা ১৯ আসনে মাঠের রাজনীতি পুরো পাল্টে গেছে। বিএনপি-জামায়াতের নতুন করে সাজানো-গোছানো দলীয় কার্যালয় এখন নেতাকর্মীদের আনাগোনায় মুখরিত। নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য ইসলামী দলগুলো পুনরায় মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা সভা-সমাবেশ, মিটিং-মিছিল এলাকায় এলাকায় উঠান বৈঠক, পথসভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের পক্ষে জনমত যাচাইয়ে মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন।
এ আসনের মানুষ এখন অপেক্ষায় রয়েছেন নিজেদের মত প্রকাশের।
যদিও বিএনপিসহ অন্যান্য দলের হাইকমান্ড উপযুক্ত প্রার্থী বাছাইয়ে ইতোমধ্যে কয়েক দফা জরিপ চালিয়েছে
সূত্র বলছে, মনোনয়নের ক্ষেত্রে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের বর্তমান অবস্থানও পর্যালোচনা করবে বিএনপি।
তবে এক্ষেত্রে মৌলিক নীতি অনুসরণ করা হবে। এজন্য প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে নীতি হিসাবে তিনটি যোগ্যতাকে অন্যতম মানদণ্ড হিসাবে সেট করা হয়েছে।
এই যোগ্যতাগুলো যাদের নাই তারা বাদ পড়বেন মনোনয়ন তালিকা থেকে।
এগুলো হলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই-সংগ্রামে দেশ ও দলের যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
দ্বিতীয়ত, যিনি সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং এলাকার জনগণের কাছে একজন ভালো মানুষ হিসাবে সুপরিচিত। তৃতীয়ত, ভোটের রাজনীতিতে যিনি তার নির্বাচনি এলাকায় বেশি জনপ্রিয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ত্যাগী, সৎ-যোগ্য ও সর্বোপরি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নিতে পারেন বলে ধারণা দলীয় নেতা কর্মীদের।
ইতিমধ্যে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু, তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কয়েক বার কারাবরনের পাশাপাশি অর্ধশতা দিক মামলার আসামি হয়েছেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি, তরুণ বয়োজ্যেষ্ঠ যুবকদেরকে সাথে নিয়ে দেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে চান। বিভিন্ন দলীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে তার অংশ গ্ৰহন চোখে পড়ার মতো।
রাশেদুল আহসান রাশেদ তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির মধ্যে দিয়ে নিজের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করে, সফল ভাবে ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে গুমের শিকার ও কয়েক বার কারাবরনের পাশাপাশি প্রায় অর্ধশত মামলার আসামি হয়েছেন তিনি। দলীয় নেতা কর্মীদের কাছে সৎ ও সাহসী সহ যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত। তিনি ২০১৮ সালেও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি তিনি, তরুণ বয়োজ্যেষ্ঠ যুবকদেরকে সাথে নিয়ে দেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে চান।
সম্ভাবনা নতুনত্ব ও পরিবর্তনের অঙ্গীকার স্লোগান কে সামনে রেখে কাজ করতে চান তিনি।
জামাল উদ্দিন সরকার-তিনি ছিলেন সাভার উপজেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,সাভার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে সাভার উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ঢাকা জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে উনি উনার দায়িত্ব পালন করেন।(২০০৩-২০১১) প্রথম মেয়াদে এবং (২০১১-২০১৬) সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে তেতুলজোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন এবং সফলতার সহিত নিজের দায়িত্ব পালন করেন। এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানা যায়। তিনিও দলীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ গ্ৰহন করছে, সাধারণ মানুষ কে দলের কর্মকাণ্ড ও তার সুফলের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
আইয়ুব খান তিনি ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকাণ্ডে সময় পার করছেন তিনি, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানান একাধিক সূত্র ও দলীয় নেতা কর্মীরা ।
এডভোকেট শেখ শওকত হোসেন, তিনি গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে মনোনীত ঢাকা ১৯ আসনের প্রার্থী ও আহব্বায়ক ঢাকা জেলা গণ অধিকার পরিষদ। গণ অধিকার পরিষদ থেকে রাজনৈতিক জীবনে তার পদার্পণ, শেখ শওকত সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান, দলে থাকার পূবেও নানা ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন,নিরাপরাধ মানুষ কে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান করে। সে যদি সংসদ সদস্য হতে পারে তবে এই আসনে আইন শৃংখলা রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে মনে করছেন অনেকে।
মাওলানা আফজাল হুসাইন, তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলার সেক্রেটারী ও ঢাকা ১৯ আসনের মনোনীত প্রার্থী। সৎ ও ন্যায় পরায়ন ব্যক্তি হিসেবে সাধারণ মানুষের নিকট পরিচিত, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নারীদের নিরাপদ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি ও দেশের দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি রোধে নিজের কাজের মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে চান।
সাধারণ মানুষের ধারণা এবারে নির্বাচন অন্যান্য সময়ের তুলনায় অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে, ভোটারদের মন জয় করতে না পারলে নির্বাচনে জয়লাভ করা কঠিন হবে বলে ধারণা তাদের।