মোবাশ্বের নেছারী, কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা :
ত্যাগীদের ডাক দে, হাইব্রিডদের কবর দে’ স্লোগানে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির এক অংশ।
নব গঠিত উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।
সোমবার (১৯ মে) দুপুর ২টায় উলিপুর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মসজিদূল হুদার সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নেতাকর্মীরা উলিপুরের প্রধান সড়কে কালো পতাকা প্রদর্শন ও কালো ব্যাজ ধারণ করে ‘ত্যাগীদের ডাক দে, হাইব্রিডদের কবর দে” স্লোগানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
বিক্ষোভকারী নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সদ্য ঘোষিত কমিটিতে ত্যাগী, আন্দোলনকারী ও কারানির্যাতিত নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ঘরানার ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি টাকার বিনিময়ে কমিটি গঠনেরও অভিযোগ ওঠে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদ্য পদত্যাগকারী পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে চ্ছাবা স্টার ও রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক জিএস ফিরোজ কবির কাজল।
তাঁরা বলেন, “এই কমিটি গঠনের মাধ্যমে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। যারা আওয়ামী লীগের দোসর ছিল, তাদের পুনর্বাসনের জায়গা করা হয়েছে বিএনপির প্ল্যাটফর্মে।” এসময় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা ও পৌর কমিটির পদত্যাগী নেতা আমিনুল ইসলাম ফুলু, মতলেবুর রহমান মঞ্জু, আমিনুল ইসলামসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
এর আগে কমিটি ঘোষণার একদিন পর ১৬ মে এক সংবাদ সম্মেলন করে চার নেতা—আমিনুল ইসলাম ফুলু, নুরে চ্ছাবা স্টার, মতলেবুর রহমান মঞ্জু ও আমিনুল ইসলাম নবগঠিত কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন এবং কমিটি বাতিলের দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ বলেন, “ফ্যাসিস্ট বা জাতীয় পার্টি ঘরানার নেতাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটিও মিথ্যা। যাকে জাতীয় পার্টির লোক বলা হচ্ছে, তিনি আসলে ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি।” প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ২১ সদস্যের উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি এবং ২৫ সদস্যের পৌর কমিটি ঘোষণা করা হয়।