জুয়েল, বেলকুচি ( সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা :
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি এবং চৌহালিতে নদীভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এবং পরিবেশ রক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা মাহিন সরকার।
গতকাল বুধবার (৭ মে) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় পানি ভবনে উপদেষ্টার কাছে বেলকুচি-চৌহালীবাসীর পক্ষ থেকে তিনি ৪টি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
৪টি স্মারকলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন—
১. সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার বড়ধুল ইউনিয়নের মূলকান্দি প্রাইমারি স্কুল হতে মেহেরনগর পর্যন্ত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ।
২. চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ও উমরপুর ইউনিয়নের নদীভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ।
৩. বেলকুচি উপজেলার দুই ধারে ইউক্যালিপটাস গাছ অপসারণ করে পরিবেশবান্ধব গাছ রোপণ।
৪. সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার ডাইং মিল স্থানান্তর এবং সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনে কেন্দ্রীয় ইটিপি স্থাপন।
এ বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার বলেন, বেলকুচি-চৌহালী একটি নদীভাঙন এলাকা। এই এলাকার মানুষ নদীভাঙনে দুর্বিষহ জীবন যাপন করেন। চর এলাকার মানুষের স্থায়ী বসবাসের জন্য বেলকুচি এবং চৌহালিতে নদীভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ খুবই জরুরি। পরিবেশ রক্ষায় কয়েকটি বিষয়েও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। উপদেষ্টা আমার এই স্মারকলিপিগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করেছেন।
এ বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব নাজমুল আহসানকে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি এবং চৌহালীতে নদীভাঙন রোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কঠোর নির্দেশ দিয়েছি এবং পরবর্তী অর্থবছরে বেলকুচি-চৌহালীর নদীভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরুর ব্যাপারে সচিব মহোদয়কে অবহিত করেছি।
এছাড়াও বেলকুচি উপজেলার সামগ্রিক পরিবেশের উন্নয়নের জন্য দ্রুত হাইওয়ের দুই ধার থেকে ইউক্যালিপটাস গাছ অপসারণ করে পরিবেশবান্ধব গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব।
এছাড়াও ডাইং শিল্পকারখানার ব্যাপারে দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নির্দেশ দিয়েছি।