সাত্তার আব্বাসী, ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা :
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপে হামলা মারপিট ও সংঘর্ষে সাংবাদিক সহ ২৫ জন আহত হয়েছে।
আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে মনিরামপুর বাজারের জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনের সড়কের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এদিন দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি গোলাম সরোয়ার ২০/৩০ সমর্থক নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশের সময় সেখানে আগে থেকে উপস্থিত সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অপর সদস্য ড. এম.এ মুহিতের সমর্থক ও নেতাকর্মীরা প্রবেশে বাঁধা দিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও মারপিটে সাংবাদিক সহ ২৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এদিন দুপুর দুইটার দিকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য গোলাম সরোয়ার তার দ্বাবারিয়ার বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার সমর্থকদের নিয়ে তিনি দুপুর ১টার দিকে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশের সময় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির অপর সদস্য ড. এম.এ মুহিতের সমর্থকরা প্রবেশে বাঁধা দিয়ে লঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তিনি ও তার লোকজন দৌড়ে পালানোর সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে সহ তার ২০ জন সমর্থককে পিটিয়ে আহত করে।
অপরদিকে এদিন বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ বলেন, গোলাম সরোয়ার ঢাকায় রাজনীতি করলেও গত ১৭ বছরে তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে কোনো যোগাযোগ করেননি। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে তার কোন সম্পর্কও নেই। হঠাৎ তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের না জানিয়ে আওয়ামীলীগ ও নিঃস্ক্রিয়দের সাথে নিয়ে পার্টি অফিসে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় আগে থেকে পার্টি অফিসে অবস্থান করা নেতাকর্মীরা বাধা দিলে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
এ সময় আমাদের পক্ষের দুই জন আহত হয়েছে। এ সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল জব্বার, পৌর বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক নওশাদ, সাধারণ সম্পাদক হাজী আইয়ুব আলী সহ অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এই সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করার সময় ড. এমএ মুহিতের সমর্থকদের হামলায় সাংবাদিক সেলিম হোসেন সহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়।