বাংলা ভয়েস ডেস্ক :

সংস্কার ছাড়া নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ এবং শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। রোববার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে সংগঠনটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত জানান নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। 

সামান্তা জানান, সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার আগেই পুরনো আইনের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন করা যুক্তিযুক্ত হয়নি। আওয়ামী সরকারের রাষ্ট্রপতির অধীনে কারো নিয়োগ বৈধ হতে পারে না বলেও জানান তিনি। 

সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে অবৈধ রাষ্ট্রপতির অধীনে ফ্যাসিস্ট আইনী কাঠামোতে গঠিত নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান করছি। একই সাথে অবলিম্বে নির্বাচন কমিশন বাতিল করে আইনটি সংশোধন করে নতুন আইনের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ ও অবিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।

নাগরিক কমিটির অভিযোগ, রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের কাছে নতি স্বীকার করে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, যা গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ বিরোধী। 

অভ্যুত্থান বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারিও দেন তারা। 

গত বৃহস্পতিবার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে সিইসির দায়িত্ব পান অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নতুন নির্বাচন কমিশনকে শপথ পাঠ করান।

Exit mobile version