বাংলা ভয়েস ডেস্ক :

এমন নির্বাচন কমিশন চাই, যেখানে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক।

তিনি বলেন, বাংলার মানুষ এমন নির্বাচন কমিশন দেখতে চায়, যে নির্বাচন কমিশন ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী করেছে। এখন এমন নির্বাচন কমিশন চাই, যেখানে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেই নির্বাচন কমিশন গঠন করুন।

আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সেনবাগ ফোরাম আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফারুক বলেন, ‘অতি দ্রুত সব রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে নির্বাচনের জন্য তৈরি করুন। অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করুন।

নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এমন নির্বাচন কমিশন, যারা সকালে বলে ৩০ শতাংশ, আরেক সময় বলে ৪০ শতাংশ আবার বিকেলে বলে ৫০ শতাংশ। এমন নির্বাচন কমিশন যেন আর না হয়। বাংলার মানুষ এমন নির্বাচন কমিশন দেখতে চায়, যে নির্বাচন কমিশন ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী করেছে। এখন এমন নির্বাচন কমিশন চাই, যেখানে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেই নির্বাচন কমিশন গঠন করুন।’

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘তারেক রহমানের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এখনো বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী কারাগারে রয়েছে। তাদের মামলা কেন প্রত্যাহার করা হচ্ছে না, তা জনগণের জানার অধিকার আছে।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা যেন আর বাংলাদেশে ফিরে না আসে। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাকে সাজা দিতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের এখন সমস্যা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। আর এর পেছনে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা জড়িত। তারা আলু সিন্ডিকেট করেছে, পেঁয়াজ সিন্ডিকেট করেছে। যারা রোজার মধ্যে চিনি খেতে দেয়নি, তারা কিন্তু আবার সজাগ হয়ে উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে তারা আবার মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াবে। আইনের মাধ্যমে তাদের মেরুদণ্ড সোজা করতে দেওয়া যাবে না।’ 

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এরা কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না। এদের ছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েশ। তাজউদ্দীন সাহেব যখন তার (শেখ মুজিবুর রহমান) কাছে গিয়েছিল স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য, সেই তাজউদ্দীনকে শেখ মুজিব বলেছিল—আমি কি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আসামি হব? তাহলে কী করে বলেন, শেখ মুজিব বাংলার নেতা? কী করে বলেন-শেখ মুজিব জাতির পিতা? এদের সবার বিচার করতেই হবে।’ 

জয়নুল আবদিন বলেন, ‘সবাই যখন বাক্স গুটিয়ে রাওয়ালপিন্ডির কাছে আত্মসমর্পণ করলেন, তখন মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। যখন অন্ধকারে দিশেহারা ঢাকার মানুষ, বার্তা পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। সেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য আজকে যে আয়োজন, তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।

Exit mobile version