বাংলা ভয়েস ডেস্ক:

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা টাকা চেয়েছেন বলে অভিযোগ করে ভোটকেন্দ্র থেকে সব প্রার্থীর এজেন্টরা বের হয়ে গেছেন।

এ ছাড়া এজেন্ট শূন্য কেন্দ্রটিতে ভোটারও একেবারে হাতেগোনা। কোনো বুথে দেড় ঘণ্টায় পড়েছে দুই ভোট, কোনো বুথে পড়েছে পাঁচ ভোট। তবে টাকা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সরোয়ার আলম।

বুধবার (৫ জুন) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের তুগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সরোয়ার আলম বলেন, তুগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার দুই হাজার ৩৬০ জন। কেন্দ্রের ভোেট কক্ষ পাঁচটি। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও সাড়ে আটটার দিকে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবু ইউসুফ ভূইয়ার এক এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকতে আসেন। নির্দিষ্ট সময়ের পরে আসায় তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাই তারা কেন্দ্রের এজেন্টদের বের করে নিয়ে গেছে। এখন কেন্দ্রে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া আর কেউ নেই।’

ভোটকেন্দ্র থেকে বের হয়ে যাওয়া এজেন্টরা ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন সারোয়ার আলম।

এদিকে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুল হক বলেন, ‘পুলিশ ও প্রিসাইডিং অফিসাররা আমাদের কাছে খরচ চেয়েছিল। আমরা না দেওয়ায় যেসব এজেন্ট দেরিতে এসেছে তাদের ঢুকতে দেয়নি। তাই আমরা সব প্রার্থীর সমর্থকরা মিলে এই কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করছি।

একই দাবি করেছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রধান এজেন্ট আবু সুফিয়ান জুলিয়াস ও কাপ- পিরিচ চেয়ারম্যান প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট সাইফুল ইসলাম।

এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান, এটি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিষয়, নির্বাচন কমিশন দেখবে।

Exit mobile version