বাংলা ভয়েস ডেস্ক:

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর তিনি বলেন, আজকে দেশে অতিরিক্ত গরম পড়ছে। তীব্র খরা চলছে। কর্তৃপক্ষ বলছে এক বছরে গাছ লাগিয়ে সব ঠিক করে ফেলবেন।

তাহলে এত বছর আপনারা কি করেছেন? আমাদের দেশের তরুণরা হিট অফিসারকে নিয়ে ট্রল করছে। তিনি (হিট অফিসার) দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র এক বছর হয়েছে। এই একবছরে তিনি কি করবেন? এগুলো ঠিক করতে হলে অন্তত পাঁচ বছর লাগবে। শুধু শুধু হিট অফিসারকে নিয়ে ট্রল করে কোনো লাভ নেই।

গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পেশাজীবি অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ১ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতিচারণ ও দোয়া মাহফিলে একথা বলেন নুর।

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে এখন সাংবাদিকদেরকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বাটপাররা দেশের টাকা বাহিরে নিয়ে যাচ্ছে, রিজার্ভ ফাঁকা করে ফেলছে, কিন্তু সাংবাদিকরা যাতে কোনো নিউজ করতে না পারে সেজন্য তাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

এসময় নুরুল হক নুর আরও বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ওষুধ নীতি করার কারণে বাংলাদেশে ওষুধ শিল্প বিকশিত হয়েছে। এই ওষুধ নীতি করার আগে বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার রকমের ওষুধ আমদানি করা হতো। ওষুধ নীতির ফলে এখন ৯৭-৯৮ শতাংশ ওষুধ বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ থেকে ওষুধ এখন বিদেশে রপ্তানি করা হয়। এই ওষুধ নীতি করতে গিয়ে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমআই) এর সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। ১৯৮২ সালে ওষুধ নীতি করার কারণে আজকে আমরা ৪২ বছর পর এটার সুফল পাচ্ছি। কিন্তু এই ওষুধ নীতি করতে গিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অপমানিত হয়েছেন।

Exit mobile version