এসএসসির পর এবার এইচএসসি পরীক্ষাতেও ভরাডুবির শিকার হয়েছে নেত্রকোণার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। জেলার চারটি কলেজ থেকে অংশ নেওয়া সব পরীক্ষার্থীই ফেল করেছে। এর মধ্যে দুটি কলেজ কেন্দুয়া উপজেলায়, একটি সদর উপজেলায় এবং একটি পূর্বধলায় অবস্থিত।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এমন হতাশাজনক চিত্র উঠে এসেছে। জেলার শিক্ষাবিদরা বলছেন—এটি শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ‘অলক্ষণের বার্তা’।
জানা গেছে, নেত্রকোণা সদর উপজেলার ছোট গারা এলাকার ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন কলেজে মানবিক বিভাগের দুজন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে দুজনই ফেল করেছেন। পূর্বধলা উপজেলার জোবায়দা জহুরউদ্দিন সরকার মহিলা কলেজে মানবিক বিভাগের তিনজন অংশ নিয়ে তিনজনই ফেল। কেন্দুয়া উপজেলার জনতা আদর্শ মহাবিদ্যালয়ে মানবিক বিভাগের নয়জন পরীক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য। একই উপজেলার গোপালপুর মডেল কলেজের ১২ জন পরীক্ষার্থীও কেউ পাস করতে পারেনি।
এছাড়া কেন্দুয়ার গড়াডোবা আব্দুল হামিদ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে একজন পরীক্ষার্থী থাকলেও তিনি অনুপস্থিত থাকায় প্রতিষ্ঠানটির ফলাফল শুন্য এসেছে।
চলতি বছর নেত্রকোণা জেলায় মোট ৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩ হাজার ৯০০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৬ হাজার ৫৮৭ জন। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৬৪৮ জন ও মেয়ে ৩ হাজার ৯৩৯ জন।
জেলায় সর্বোচ্চ ভালো ফলাফল করেছে নেত্রকোণা সরকারি কলেজ। এ কলেজের ১ হাজার ৩৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০৯ জন জিপিএ-৫ এবং ১ হাজার ১৩ জন পাস করেছে। অন্যদিকে নেত্রকোণা সরকারি মহিলা কলেজে ১ হাজার ২৩৮ জনের মধ্যে মাত্র পাঁচজন জিপিএ-৫ পেয়েছেন, পাস করেছেন ৬৫২ জন।
আবু আব্বাস কলেজে ১ হাজার ২৯৫ জনের মধ্যে একজন জিপিএ-৫ পেলেও ৯৪২ জন ফেল করেছেন।
শিক্ষাবিদদের মতে, সবচেয়ে বিস্ময়কর পতন ঘটেছে দুর্গাপুর উপজেলার আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন তালুকদার কলেজে। কেন্দ্র পরিবর্তনের পর এ বছর প্রতিষ্ঠানটির ১০৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র তিনজন পাস করেছে, বাকিরা ফেল।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন,“শতভাগ অকৃতকার্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হবে।”


















