নিউজ ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকির রেশ কাটকে না কাটতেই এবার আওয়ামী লীগের আরেক নেতা মার্কিন ওই রাষ্ট্রদূতকে হত্যার হুমকি দিয়েছে।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়া কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফরিদুল আলমের বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে  ছড়িয়ে পড়েছে।

এই বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। 

মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে গত ৬ নভেম্বর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফরিদুল আলম। সেই বক্তব্যের ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে ফরিদুল আলমকে বলতে শোনা যায়, ‌‌আপনারা জানেন, বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কী একটা পাতি হাঁস আসছে। পিটার হাস বদমাইশ।

সে বিএনপির হয়ে যে অসভ্য কাজকারবারগুলো বাংলাদেশে করছে, তাকে পেলে জবাই করে মানুষকে খাওয়াইতাম। সেই পিটার হাস, বদমাইশ।

গত (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা।

প্রধান বক্তা ছিলেন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওচমান শরীফ প্রমুখ।

বক্তব্যের বিষয়ে ফরিদুল আলম বলেন, আমি এই ধরনের বক্তব্য দিইনি। পিটার হাস আমাদের মেহমান।

আমি মেহমানদারি করার জন্য বলেছিলাম। তাকে জবাই করে মানুষকে খাওয়ানোর বিষয়ে বক্তব্য দিইনি।

ভিডিওর কথা উল্লেখ করা হলেও তিনি বক্তব্যের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তবে ফরিদুলের বক্তৃতার সময় মঞ্চে থাকা তারেক বিন ওচমান শরীফ বলেন, জবাই করার বিষয়ে আমি শুনিনি।

তবে পিটার হাসকে নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে শুনেছি।

এ ধরনের বক্তব্য দেওয়াটা ঠিক হয়নি। তাই ভবিষ্যতে দলীয় সভায় এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করা হবে।

এ দিকে, মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন আইবেলি গণমাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উদ্দেশে হুমকিমূলক বক্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমরা বার বার উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী এক সমাবেশে পিটার হাসকে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকি দিয়ে ছিলেন।

Exit mobile version