বাংলা ভয়েস ডেস্ক :
ভারতের গ্রেফতার বাংলাদেশি মডেল ও অভিনেত্রী শান্তা পালকে আট দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ২৮ জুলাই যাদবপুর থানার অন্তর্গত বিজয়গড় এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে আটক করা হয় তাঁকে।
গ্রেফতারের সময় তাঁর কাছ থেকে ভারতের ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড উদ্ধার করেছিল পুলিশ। যেগুলোর বৈধতা নিয়ে তদন্ত চলছে।
পুলিশ সুত্র জানা গেছে, শান্তা পাল ২০২৩ সাল থেকে যাদবপুরে একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে থাকছিলেন তিনি। তবে বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করতেন। তার কাছে থাকা একটি আধার কার্ড পূর্ব বর্ধমানের ঠিকানায় ৫ বছর আগে ইস্যু করা হয়, অন্যটি ছিল কলকাতার একটি ঠিকানা। পুলিশের সন্দেহ, এতসব ঠিকানার ব্যবহার আসলে কোনো প্রতারণামূলক কাজের অংশ কি না। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
পুলিশ আরও জানায়, শান্তা পাল কলকাতায় অ্যাপ ক্যাব ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সম্প্রতি ঠাকুরপুকুর থানায় তিনি নিজেই কিছুদিন আগে একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার তদন্ত করতেই উঠে আসে নতুন তথ্য। পুলিশ পরে তার ফ্ল্যাট তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র, এমনকি বিমান সংস্থার পরিচয়পত্র উদ্ধার করে। ভারতের নাগরিক হিসেবে যে ডকুমেন্টগুলো তাঁর কাছে পাওয়া গেছে সেটা নিয়ে পুলিশের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
বলে রাখা ভালো, শান্তা পাল ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক করেছিলেন। তামিল ভাষার ‘ইয়েরালাভা’ নামের একটি সিনেমাতেও কাজ করেছেন তিনি। বাংলাদেশের বেশ কিছু বিজ্ঞাপনেও কাজ করেন তিনি।