নিউজ ডেস্ক
দেশে পণ্য প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় আয়োজন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) ২৮তম আসর আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে। এবারের মেলায় ব্যবসায়ীদের স্টল ও দর্শনার্থীদের প্রবেশমূল্য দুটি বাড়তে পারে। বাণিজ্য মেলার স্থায়ী এই প্রাঙ্গণে তৃতীয়বারের মতো দেশ-বিদেশের ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা মিলিত হচ্ছেন।
মেলা প্রাঙ্গণে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতির তোড়জোড়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো যৌথভাবে আয়োজন করছে এ মেলা। রবিবার (২০ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাসব্যাপী এ মেলা উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
দেশে ১৯৯৫ সাল থেকে যথারীতি বছরের প্রথম দিন থেকেই বসে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম হয় ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে। যদিও নির্বাচন পরবর্তী নতুন সরকার ও নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন হওয়ায় মেলা বসার দিনক্ষণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছিল মেলায় বরাদ্দ নেওয়া স্টল মালিক-শ্রমিকরা। তার অবসান ঘটিয়ে মেলা বসার সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ।
দেশের পণ্য প্রদর্শনীর সব থেকে বড় আয়োজন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি প্রতিবছর ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক,মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর,নেপালসহ বিভিন্ন দেশের পণ্য শোভা পায় এ মেলায়।
দুই বছর ধরে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে শহরের শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হতো। মূলত জনদুর্ভোগ এড়াতে বাণিজ্য মেলা মূল শহর থেকে পূর্বাচলে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।
আয়োজক সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছর দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ৩৩১টি স্টল মেলায় অংশ নেয়। এ বছর সব মিলিয়ে ৩৫০টি স্টল অংশ নেবে। দেশীয় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, হংকং, ইরান, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা মেলায় নিজেদের পণ্য বিক্রি করবেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর মেলায় প্রবেশমূল্যও বেড়েছে। এ বছর সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য ৫০ টাকা ও ১২ বছরের কম বয়সীদের জন্য ২৫ টাকা টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে। গত বছর যা ছিল যথাক্রমে ৪০ ও ২০ টাকা।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ছুটির দিন মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য রাজধানীর ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে আলাদা বাস ছাড়বে। মেলায় আসতে ফার্মগেট থেকে ৭০ টাকা ও কুড়িল থেকে ৩৫ টাকা মূল্যের টিকিট কাটতে হবে দর্শনার্থীদের।