মোঃ মনির মন্ডল,সাভার সংবাদদাতা
আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে, সোমবার রাত ১টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়ার রোজ পোশাক কারখানা এলাকায় হামলার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জের তারাইল থানার পুয়ুরা এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম (১৬), ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার কেপেয়াজানি বটতলা এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. লাহীম (১৩), ভোলা জেলার সদর থানার কুষিয়া এলাকার মো. এ আনসার আলীর ছেলে মো. নাহিদ নেহাল (১৬), বগুড়া জেলার সদর থানার আকাশতারা এলাকার মো. কাজল মোল্লার ছেলে মো. হৃদয় মোল্লা (১৬) এবং ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার মহেষপুর এলাকার মো. আমিরুল ইসলামের ছেলে মো. আলীম ইসলাম (১৬)। তারা সবাই আশুলিয়ার জামগড়ার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলো।
স্থানীয় সুত্রে যানা গেছেন, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জামগড়ার রূপায়ন মাঠ এলাকায় জনৈক লিটনের বাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলা চালায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এসময় স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে তারা তিনজনকে আহত করে। পরে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সদস্যকে তিনটি দেশীয় তৈরী রাম দাসহ আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার হৃদয়ের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তৈয়ব, রতন ও জিনুসহ কয়েকজন লিটন নামে এক ব্যক্তিকে মারার জন্য আটক ৫ জনসহ ১৫/২০ জনকে রাম দা দিয়ে পাঠায়। কথামত তারা জামগড়ার রূপায়ন মাঠ এলাকার লিটনের বাড়িতে হামলা চালায়। তবে স্থানীয়রা এসময় বাধা দেয়। পরে এলাকাবাসী তাদের আটক করে থানায় খবর দেয়।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিতাভ চৌধুরী অমিত বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।