মোহাম্মদ শাহ এমরান টেকনাফ, কক্সবাজার
কক্সবাজার দায়িত্বাধীন এলাকায় বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড, অপহরণ, মানবপাচারের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ঈর্ষণীয় ভূমিকা রাখছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদক বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় মাদক বিরোধী একটি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র্যাবের আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ০৫নং ওয়ার্ডস্থ কাঞ্জরপাড়া কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পূর্ব পাশে আব্দুল কাইয়ুম মার্কেটের সামনে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে দুইজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অপর দুই সহযোগী র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে দ্রুত পালিয়ে যায় বলে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীরা স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে ০১টি দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুক, ০২ রাউন্ড গুলি এবং ৯,৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে একই তারিখ অনুমান ৩ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সূত্রে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়া (কেতিরবিল) এলাকার জনৈক আব্দুর রহিম এর ০৩ রুম বিশিষ্ট উত্তরমূখী সেমি পাঁকা বসত ঘরের ভিতর মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে মর্মে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের আভিযানিক দল সেখানে একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে মোহাম্মদ জালাল’কে গ্রেফতারসহ তার বসত ঘর তল্লাশী করে সর্বমোট ১৮,০০০ (আঠারো হাজার) পিস ইয়াবা করা হয়।
টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম ছেলে গিয়াস উদ্দিন। টেকনাফ সদর, পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা বজল আহমদের ছেলে আব্দুস সালাম ও টেকনাফ সদর, ইউনিয়ন ডেইল পাড়া (কেতিরবিল) এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসমাইল ছেলে মোহাম্মদ জালাল আটক করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। তারা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজসে অবৈধভাবে টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন পন্থায় স্থানীয় এলাকাসহ টেকনাফ ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা বিক্রয় করে থাকে বলে জানায়।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।