বাংলাদেশে বসেই আন্তর্জাতিক প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠেছে এক যুগলের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের “মডেল” পরিচয় দিলেও, তারা বিশ্বের অন্যতম বড় ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিডিও প্রকাশ করে আলোচনায় এসেছেন বলে জানা গেছে।
গবেষণামূলক অনুসন্ধানভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম দ্য ডিসেন্ট–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাস থেকে অনলাইনে সক্রিয়। এক বছরের মধ্যে তারা শতাধিক ভিডিও প্রকাশ করে বিপুল পরিমাণ দর্শক ও অনুসারী অর্জন করেছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যুগলটি শুধু একটি ওয়েবসাইটেই নয়, একাধিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট প্রকাশ করছেন। পাশাপাশি টেলিগ্রাম, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামেও নিজেদের কার্যক্রম প্রচার করছেন। ২০২৪ সালের মে মাসে তাদের নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল খোলা হয়, যেখানে কয়েক হাজার সদস্য রয়েছেন। সেখানে নতুন ভিডিওর লিংক ও আয়ের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, তরুণদের এই ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। কিছু অনলাইন পোস্টে দেখা গেছে, “নতুন ক্রিয়েটর যুক্ত করুন, অর্থ উপার্জনের সুযোগ পান” — এমন বার্তা দেওয়া হচ্ছে।
পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী, এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে, স্থানীয় প্রশাসন ও বিটিআরসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ বা পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো. রাসেল বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য আমাদের হাতে আসেনি। যাচাইয়ের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের অনলাইন কর্মকাণ্ড তরুণ প্রজন্মকে ভ্রান্ত পথে পরিচালিত করতে পারে। তারা বলছেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্মের নজরদারি ও আইন প্রয়োগ আরও জোরদার করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক পর্ন নেটওয়ার্ক পরিচালনার বিষয়টি দেশে সাইবার আইন প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা ও নতুন ধরনের অপরাধ প্রবণতার দিকটি আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।
সূত্র:দ্য ডিসেন্ট


















