প্রতিবেদক : শাহ আলম সরকার

টাঙ্গাইল পৌরসভার ২৬ জন কর্মচারী নিয়োগে মেয়রের বিরুদ্ধে ৫ কোটি  টাকার নিয়োগ বাণিজ্য এবং কোটি কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পৌরসভার ২০২২-২৩২০২৩-২৪ অর্থ বছরে অডিটে এসব দুর্নীতি ও অনিয়মসহ ৩০টি খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে বলে আপত্তি তুলেছে অডিট টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে টাঙ্গাইল পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে অডিট টিমকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন পৌরসভার পুরোনো এক কর্মকর্তা।

এ বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীসহ পৌরবাসী জানার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। আজ বুধবার বেশ কয়েকটি টিভি চ্যালেন ও পত্রিকার সাংবাদিক বিষয়টি খোঁজখবর নিতে পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাথে কথা বলেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে টাঙ্গাইল পৌরসভার সচিব শাহনাজ পারভীন বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অতীতে কি ঘটেছে সেটা ভেবে ভবিষ্যতের জন্য আমাদের ভাল কাজ করা উচিত। ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে অডিট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার বিষয়টি তিনি জানেন না বলেও সাংবাদিকদের জানান।

এদিকে অডিটে ২৬ জন কর্মচারী নিয়োগে ৫ কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন ও কোটি কোটি টাকার অডিট আপত্তি ফাঁস হলে পৌরসভার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

নাম প্রকাশ করার না শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, সকল অনিয়ম ও দুনীতির মূল হোতা হলেন পৌরসভার সাবেক মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর গত ৫ আগষ্টের পর থেকেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।

Exit mobile version