মোহাম্মদ শাহ এমরান, কক্সবাজার সংবাদদাতা
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের অভিযানে প্রতারক হুমাইয়ূন কবির কখনো পুলিশ সুপার, জেল সুপার এবং আইনজীবিসহ বিবিধ পেশার ভুয়া পরিচয় দিয়ে বিপদাপন্ন মানুষের কাছে থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিলো, অবশেষে চক্রের মূলহোতা কে সদর থানাধীন ঝিলংজা ইউনিয়নের ১নং ওয়াডস্থ শুকনাছড়ি মুজিবনগর এলাকা থেকে আটক করতে সক্ষম হয়।
সম্প্রতি কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন এক ভুক্তভোগী নারী আসমাউল হুসনা অভিযোগ করেন, তার স্বামী দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলা কারাগারে কারাভোগ করায় বিগত ৯/১০ মাসে পূর্বে তার সাথে দেখা করতে আসা-যাওয়ার সময় হুমাইয়ূন কবির নামে এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয়।
এ সুবাদে সে জানায় যে, তার সাথে কক্সবাজার জেলা কারাগারের বিভিন্ন কর্মকর্তা, আইনজীবি, মুহুরি, বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকের সাথে সু-সম্পর্ক রয়েছে এবং ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার বিনিময়ে ভুক্তভোগীর স্বামীকে জামিন করিয়ে দিতে পারবে। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক হুমাইয়ূন কবিবের একাধিক মোবাইল নম্বরে পর্যায়ক্রমে একাধিকবারে সর্বমোট ১,১৩,৯০০/- (এক লক্ষ তের হাজার নয়শত) টাকা প্রদান করলেও সে তার স্বামীর জামিনের বিষয়ে বিভিন্ন অযুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী বুঝতে পারে যে, সে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হচ্ছে এবং এ বিষয়ে র্যাব-১৫ এর নিকট অভিযোগ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯/০২/২০২৪ তারিখ অনুমান ০৬.৩০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে কক্সবাজারের সদর থানাধীন ঝিলংজা ইউনিয়নের ১নং ওয়াডস্থ শুকনাছড়ি মুজিবনগর এলাকা থেকে মোঃ হুমাইয়ুন কবির (২৭), পিতা-মৃত বদি আলম, সাং-ঠান্ডাঝিরি, ৯নং ওয়ার্ড, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন, থানা-লামা, জেলা-বান্দরবান’কে গ্রেফতার করে এবং ভুক্তভোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত হুমাইয়ুন কবিরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তার সহোদর ভাই ও স্ত্রী এবং অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের সহায়তায় বিভিন্ন সময়ে কারাগারে থাকা আসামীদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতো। অতঃপর তাদের পরিবারের সহিত সম্পর্ক সৃষ্টি করতো। পরবর্তীতে জামিনের কথা বলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রতারনা করে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা দাবী করে হাতিয়ে নিতো বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃ আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।