জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে বলা হয়, আন্দোলন চলাকালে ড্রোন, হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে দমন করার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন এলাকায় গুলি, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার ঘটনায় তাঁর নির্দেশনার প্রতীয়মান প্রমাণ অডিও, ভিডিও, সাক্ষ্য ও ফোনালাপ—ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়, যা আদালত গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে।
শুনানিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, বাড্ডা, সাভার ও আশুলিয়ায় সহিংসতায় হতাহতের ঘটনাও তুলে ধরা হয়। এসব প্রমাণের ভিত্তিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ট্রাইব্যুনাল প্রমাণিত বলে রায় দেয়। রায়টি সরাসরি প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের স্থাপিত বড় স্ক্রিন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজ।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয় এবং প্রথম মামলাটি হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। তদন্ত, অভিযোগ গঠন ও যুক্তিতর্ক শেষে আজ এই রায় ঘোষণা করা হলো। শেখ হাসিনা বর্তমানে পলাতক বলে ট্রাইব্যুনাল জানায়।


















