জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. রাজিবুল ইসলামের জেরা শুরু হয়।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
বেলা ১১টার পর শুরু হওয়া শুনানিতে ডা. রাজিবুল পুনঃজবানবন্দি দেন। তাকে জেরা করছেন স্টেট ডিফেন্সের আইনজীবীরা, আর প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও মঈনুল করিম। এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর রংপুরে কর্মরত এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট একেএম মঈনুল হকের জেরা শেষে ডা. রাজিবুল সাক্ষ্য দেন।
তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় গত ২৮ আগস্ট, যখন আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন জবানবন্দি দেন। এ পর্যন্ত এই মামলায় তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
আজ সকালেও মামলার ছয় আসামিকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন—এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।
মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার গত ২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয়। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল বিচার শুরুর আদেশ দেন।
তবে ২৪ আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের পক্ষে ২২ জুলাই চারজন সরকারি আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।
মামলার তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এ মামলায় মোট সাক্ষী ৬২ জন।