বাংলা ভয়েস ডেস্ক :
সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে মিরপুর থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে আদালতে আনা হলে তিনি চকলেট খেতে চান। একটি ব্যাগে করে চকলেট দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) কামাল মজুমদারসহ সাবেক বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রী আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়। পরে তাদেরকে আদালতে নেওয়ার পর সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদকে মিরপুর থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়।
জানা যায়, শুনানির পর কাঠগড়ার এক পাশে গিয়ে কামাল আহমেদ মজুমদার তার পক্ষের এক আইনজীবীকে ডেকে চকলেট খেতে চান। কিছুক্ষণ পরেই একজন আইনজীবী সাদা কাগজের ব্যাগে করে তার জন্য চকলেট আনেন। চকলেট আনা দেখে দ্রুত ব্যাগটি নিতে যান বৃদ্ধ কামাল মজুমদার।
তবে বিষয়টি দেখে ফেললে নিরাপত্তায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা বাধা দেন। সেসময় চকলেট নিতে ব্যর্থ হন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী।
পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইসতিয়াকের আদালত কামাল আহমেদ মজুমদারকে মিরপুর থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে শুনানি শেষে পুনরায় হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় কামাল আহমেদ মজুমদারকে চকলেট দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কামাল আহমেদ মজুমদারের আইনজীবী আল ইমরান (মুকুল) বলেন, ‘কামাল আহমেদ মজুমদারের চকলেট অনেক প্রিয়। এ ছাড়া তার সুগার লো হয়ে যায়। এ জন্য চকলেট খেতে হয়। তাই তিনি চকলেট চেয়েছিলেন। কিন্তু এজলাসে তো আসামিকে কিছু দেওয়ার নিয়ম নেই। পরে বিধি মোতাবেক আইনজীবীর মাধ্যমে চকলেট পৌঁছে দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘চকলেট খেতে চাওয়া বা তাকে দেওয়া হয়েছে কি না আমার জানা নেই। তবে অগোচরে দেওয়া তো বেআইনি। খাবার বা চকলেট খাওয়ার পর আসামির কিছু হলে তো সরকারের ওপর দায় বর্তাবে। দায়িত্বরত পুলিশ ও ডিসি প্রসিকিউশন থেকে এ বিষয়ে কঠোর হওয়া উচিত।’
তিনি জানান, চকলেট বা বাইরে থেকে খাবার দেওয়ার বিষয়টি আদালত থেকে অনুমতি নেই।