উপজেলা প্রতিনিধি, শার্শা যশোর
এই প্রথম বিদেশি সবজি স্কোয়াস চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কলেজ পড়ুয়া মনজুরুল আহসান নামে এক তরুণ কৃষক। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় শীতকালীন শ্বাক সবজির পাশাপাশি ২০ শতক জমিতে স্কোয়াস চাষ করেন তিনি।
তরুণ কৃষক মোঃ মনজুরুল আহসান যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।
মোঃ মনজুরুল আহসান জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও বরুই (কুল) চাষ করেন। হঠাৎ একদিন ইউটিউবে ভিডিও দেখে আগ্রহ হলো স্কোয়াস চাষ করার। পরে শার্শা উপজেলার কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে স্কোয়াসের বীজ সংগ্রহ করে বাড়িতে মিষ্টি কুমড়া বা লাউয়ের মতো বীজ বপন করে গাছ তৈরি করে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে জমিতে রোপণ করি। রোপনের প্রায় দেড় মাস পর গাছে ফল আসতে শুরু করে। বিদেশি স্কোয়াস গাছ একদম মিষ্টি কুমড়া গাছের মতো হয়। গাছের পাতা, ডগা, রং দেখে বোঝার উপাই নেই যে এটি মিষ্টি কুমড়া গাছ নাকি স্কোয়াস গাছ।
তিনি আরো জানান, এই প্রথম আমি স্কোয়াস চাষ করেছি, তাই সঠিক নিয়মে পরিচর্চা না করতে পারাতে প্রথমে কিছুটা খরচ বেশি হয়েছে। তবে স্কোয়াস (ফল) বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়ায় আমার বেশ লাভ হয়েছে। খরচ কম অধিক লাভ হওয়ায় আগামীতে আমি আরও বেশি জমিতে এই বিদেশি সবজি স্কোয়াস চাষ করবো।
তরুণ এই চাষী আরও বলেন, প্রতিটি স্কোয়াস দেড় থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। সবজি হিসেবে এই এলাকায় স্কোয়াস চাষ নতুন হওয়ায় আশপাশের অন্যান্য সবজি চাষীরা অনুপ্রাণিত হয়ে তার স্কোয়াস চাষ দেখতে আসছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পলাশ কিশোর ঘোষ বলেন, প্রথম বারের মতো শার্শা উপজেলার মাটিতে বিদেশি সবজি স্কোয়াস চাষ হয়েছে। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। কম খরচে অধিক লাভ এবং ফলটিতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। আগামীতে মনজুরুলের মতো অনেক চাষী স্কোয়াস চাষে আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন তিনি।