শাহ আলম সরকার সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ- ৩ (তাড়াশ রায়গঞ্জ সলঙ্গা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন আল-আরাফাহ্ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মুহা: নূরুল ইসলাম উজ্জ্বল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয় জানতে চাইলে তিনি বাংলা ভয়েস কে বলেন : বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভোট হওয়াতে একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। আমি মনে করি যদি সুস্থ ও সুন্দর ভোট হয়। তাহলে আমি শতভাগ আশাবাদী তাড়াশ রায়গঞ্জ সলঙ্গার জনগণ আমাকে ভোট দিবেন। এই আশা নিয়ে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি।
সিরাজগঞ্জ তিন আসনে কতটুক আধুনিক রোল মডেল হয়েছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে যতগুলো এমপি জয়যুক্ত হয়েছে বা সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করেছে। তারা পর্যায়ক্রমে আসলে স্বাধীনতা পর থেকে সঠিকভাবে কাজ করার মত একটাও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়নি। মানুষ তার কাঙ্ক্ষিক লক্ষ্যে শেষ বয়সে সে নির্বাচিত হয়েছে।
আপনি দেখবেন আমাদের পাশেই সিংড়া আসনে পলক এমপি ৩৫ বছরে যা পরিবর্তন হয় নাই ১০ বছরে তিনি তা পরিবর্তন করেছেন।
আমি যদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। তাহলে যুবকদের নিয়ে কাঁধে কাঁধ রেখে এই সিরাজগঞ্জ-৩ আসন আধুনিক রোল মডেল হিসেবে তৈরি করবো ইনশাআল্লাহ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হব এই বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ডিসি সাহেব ও এসপি সাহেব আমাকে ডেকেছে। তারা বলেছেন এই নির্বাচন বিগত নির্বাচন মত হবে না। তার কিছু উদাহরণ দিয়েছে যেমন, ব্যালট পেপার সকালে পাঠাবে, প্রত্যেকটা কেন্দ্রে একটি করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। মানে প্রার্থীর একটা আলাদা অর্ঘ্য অধিকার থাকবে। এই বিষয়গুলো তারা আমাকে নিশ্চিত করেছে। তারা বলছেন ভোট সুস্থ হবে এই আশা নিয়েই আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমার এই আসনে অনেক বেকার যুবক যুবতী রয়েছে। তাদের যেন কর্মস্থল তৈরি করা বা তাদের পেটে ভাত দেওয়া তারপরে পিঠে বোঝা দেওয়া। আমি যুবকদের বেশি সুযোগ সুবিধা তৈরি করে দেবো। যেন তারা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসবে না। এই বিষয়ে জানতে চাইলে আলহাজ্ব মুহা: নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, এখানে প্রতিটা দলের আলাদা সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে বা ক্ষমতা আছে। তবে তাদের দাবি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের দাবি। কিন্তু জনগণের একটা দাবি। সংবিধান অনুযায়ী এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। জনগণের ভোটের অধিকার কয়েকবার হরণ করা হয়েছে। এইজন্য এবারও আস্থা আনতে পারছেন না। বারবার আস্থার কথা বললেও আস্থা বাস্তবায়ন হয় নাই। এইজন্য তাদের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন যাবে না। এটা তাদের দলের ব্যাপার।
একাদশ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেমন ভোট পেয়েছিলেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সাধারণ জনগণে ভোট পেয়েছিলাম। কিন্তু তাদের ভোট প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়নি। আমাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। আমার প্রতীক ছিল বাঘ মার্কা। আমার নেতা কর্মীদের ও সমর্থকদের আহত করা হয়েছিল এবং গাড়ি ভাঙচুর করে ছিল এবং আপনারা জানেন এমন ঘটনা ঘটেছে ছিল। এটি সব মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কতটুক সুস্থ হবে মনে হয়। এই বিষয় তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখনো কনফার্ম না যে তারা শতভাগ নিবার্চন দিতে পারবে।