সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা :
সিরাজগঞ্জ চৌহালীতে ফেরার প্রাইস (ন্যায্যমূল্যের) কার্ড ও চাউল বিতারণে অনিয়ম করেছেন ২নং স্থল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম মোল্লা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তার নামে একাধিক কার্ড রয়েছে। শাহ্ আলমের বড় ভাই লাংঙ্গলমুড়া ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর মোঃ শাহাদৎ মোল্লা, বড় ভাই ধনাঢ্য শাহ জাহান আলী, আরেক বড় ভাই মতিয়ার রহমান মোল্লার নামেও কার্ড রয়েছে, উভয়ের পিতার মোঃ আব্দুস সোবাহান মোল্লা।
তারা সমাজের প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে বলে জানান এলাকার সাধারণ মানুষ। তাদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী এই অনিয়মের সুস্থ তদন্ত করে বিচার দাবি জানিয়েছেন।
চৌহালী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা অফিস সহকারী মিজান জানান, বিষয়টি সত্য ৩০ টাকা করে বেশি নিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা ও ডিলার শাহ আলম মোল্লার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বাংলা ভয়েস’কে জানান, আমি এলাকায় ছিলাম না। আমি এটা শুনেছি। এক অফিসার বলেছেন যে আমি নাকি ৩০ টাকা করে বেশি নিয়েছি তার পরিচয় দিচ্ছেন না।
এটি মিথ্যা অভিযোগ। আমাকে ফাঁসাতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার করা হচ্ছে।
এ দিকে তার ভাইদের নামে যে কার্ডগুলো আছে সেই ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে এই বিষয় টা আমি বলি। আমার ভাইরা অনেক। তারা তো স্থল ইউনিয়নের বাসিন্দা। এর মধ্যে তাদের নামে ২-১টি কার্ড থাকতেই পারে। এটার ভিত্তি নাই এটা একটি মিথ্যা।
চৌহালী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার সহকারী অফিসার মিজানের অভিযোগ বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি আমাকে জবাব দিতে বলেছেন আমি জবাব দিব।
এ বিষয়ে ২নং স্থল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, দুই বস্তার ক্ষেত্রে এক বস্তা দিয়েছে এটা আমি শুনেছি।
স্থল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নেতা শাহ আলম মোল্লা বলেন, এটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
বাং ভ/অ