ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা :

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) অধীনে দেশি মুরগির ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করে অবশিষ্ট টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবুল খায়ের মো. আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে দেশি মুরগির ঘর নির্মাণের জন্য উপজেলার আনেহলা ও লোকেরপাড়ায় ৭২ জন এবং রাসুলপুর ও লক্ষিন্দর ইউনিয়নে ছাগল পালনের জন্য ৪০ জন, অর্থাৎ ১১২ জন খামারির জন্য ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। 

সেই টাকা খামারিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হলেও ‘কথা না মানলে সমিতির সদস্যপদ থেকে বাদ দেওয়ার’ ভয় দেখিয়ে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উঠিয়ে নেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে উপজেলার হাটকয়ড়া আনেহলা গ্রামের দেশি মুরগি সমিতির সদস্য কল্পনা বেগম, সেলিনা বেগম, মিতু বেগম জানান, আমরা নিজেরাই ঘর তৈরি করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু স্যার করতে দেননি।

তিনি বলেন, ‘সকলের ঘর একই ডিজাইনে করতে হবে। কাজেই তোমাদের টাকা দেয়া যাবে না।’ তারপরও কেউ কেউ আপত্তি করলে স্যার রাগ করে সদস্যপদ থেকে বাদ দেয়ার ভয় দেখান।

এতে আমরা ঘাটাইল কৃষি ব্যাংকে গিয়ে স্যারের কথামতো স্বাক্ষর দিয়ে আসি। এরপর স্যার এসব ঘর আমাদের করে দিয়েছেন।

অনিয়মের বিষয়ে আনেহলা ইউনিয়নের পিজি সদস্য (মাঠকর্মী) আজিজুল জানান, আমাদের কাছে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা না করে স্যারকে জিজ্ঞাসা করুন, যা কিছু করেছি তার নির্দেশেই হয়েছে।

সব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবুল খায়ের মো. আনিসুর রহমান জানান, আমরা খামারিদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করিনি। তারা নিজেরাই টাকা উত্তোলন করেছেন।

বাং ভ/অ

Exit mobile version