ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় গৃহপালিত হাঁস পালনকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর বঁটির কোপে বড় ভাই (ভাসুর) নিহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম টুকু মোল্লা (৪৫)। তিনি উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুলপান্দী গ্রামের বাসিন্দা ও ইদ্রিস মোল্লার ছেলে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায়, নিহতের নিজ বাড়িতে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, টুকু মোল্লা তার চাচাতো ভাই শাহিন মোল্লার ছেলে আবিরের সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যার দিকে তিনি নিজ ঘরে গেলে ছোট চাচাতো ভাই সোহাগ মোল্লার স্ত্রী সীমা বেগমের সঙ্গে গৃহপালিত হাঁস পালন নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে প্রতিবেশী নারীদের মধ্যে হাঁস নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। পরে তা পরিবারের পুরুষ সদস্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে টুকু মোল্লার সঙ্গে সীমা বেগমের বাকবিতণ্ডা তীব্র আকার ধারণ করে।
উত্তেজনার এক পর্যায়ে সীমা বেগম হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র বঁটি দিয়ে টুকু মোল্লার বাম পাশের বুকে কোপ দেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত সীমা বেগম পালিয়ে যান। তিনি তুরস্কপ্রবাসী সোহাগ মোল্লার স্ত্রী বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে লাশ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


















