মৌসুমি বৃষ্টিতে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। অবিরাম বৃষ্টিতে মাঠের পর মাঠ পানিতে ডুবে থাকায় ঘরে তোলার আগেই নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ধান। এতে হতাশায় পড়েছেন উপজেলার হাজারো কৃষক।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ধামাইনগর, সোনাখাড়া, চান্দাইকোনা, ধানগড়া, পাঙ্গাসী, ব্রহ্মগাছা, নলকা, ঘুড়কা ও ধুবিল ইউনিয়নের কৃষিজমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় ধানগাছ পুরোপুরি পানির নিচে তলিয়ে গেছে, এভাবে থাকলে ধান গাছের গোড়ায় পচন ধরতে শুরু করবে।
কৃষকরা জানান, ধান কাটা শুরু করার প্রস্তুতি চলছিল, কিন্তু হঠাৎ মৌসুমি বৃষ্টিতে সব মাঠ পানির নিচে চলে গেছে। এতে সময়মতো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
পাঙ্গাসী গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, “ধান পেকে গেছে, এখন কাটার সময়। কিন্তু মাঠে পানি জমে গেছে। ধান কাটা তো দূরের কথা, মাঠে ঢোকাই যাচ্ছে না।”
একই এলাকার কৃষক মো. আবদুল করিম বলেন, “বৃষ্টি আর জোয়ারে ফসল ডুবে গেছে। কয়েকদিনের মধ্যে পানি না নামলে ধানগাছ পচে যাবে, পুরো বছরের পরিশ্রম শেষ।”
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, চলমান মৌসুমি বৃষ্টিতে প্রতিটি ইউনিয়নে রোপা আমন ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমান পানি নেমে গেলে বোঝা যাবে। পানির নিচে থাকা ধানগাছ বেশি দিন টিকবে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, “এই সময়ে বৃষ্টি আমনের জন্য ক্ষতিকর। আমরা মাঠ পর্যায়ে নজর রাখছি। পানি দ্রুত সরে গেলে ক্ষতি কিছুটা কমানো সম্ভব হবে।”
এদিকে, টানা বৃষ্টিতে গ্রামীণ সড়ক ও হাটবাজারেও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ফসল পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না। অনেকে বাধ্য হয়ে কাটার আগেই ক্ষেতে দাঁড়ানো ধান বিক্রির চিন্তা করছেন।
স্থানীয় কৃষকরা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন, যেন মৌসুমি এই বৃষ্টিতে তাদের বছরের পরিশ্রম পুরোপুরি নষ্ট না হয়।


















