প্রেমিকের দেওয়া গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পারভীন আক্তার তানজিলা (১৯) নামের এক নববধুর বিরুদ্ধে। এছাড়াও একই দিন সেরাজুল ইসলাম (২৪) নামের একজনের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার ও স্বামী হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে নববধু পারভীন আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, বুধবার ভোরে উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের পূর্ব চর কৈজুরী গ্রামের রাস্তার উপরে সেরাজুল ইসলামের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। মৃত সেরাজুল ইসলাম চর কৈজুরী গ্রামের মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে। সকাল আনুমানিক ৭টায় শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম আলী থানা পুলিশের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
অপরদিকে উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামের ভদ্রপাড়ায় প্রেমিকের ইন্ধনে তার দেওয়া গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে আব্দুল করিম নামের এক ভ্যান চালককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার নববধু পারভীন আক্তার তানজিলার বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে অভিযুক্ত নববধু তানজিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। একই দিনে ২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শাহজাদপুর উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এই বিষয়ে নিহত ভ্যানচালক করিম মন্ডলের বাবা নবী হোসেন বলেন, একমাস পূর্বে পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার চাঁদ তারা গ্রামের মৃত হাসেনের মেয়ে পারভীন আক্তার তানজিলার সাথে আমার ছেলেকে বিয়ে করানো হয়। সোমবার রাতে কৃমির ঔষধ খাওয়ার কথা বলে করিমকে গ্যাস ট্যাবলেট পান করায় তানজিলা। পরে বাইরে এসে ছেলে ছটফট করলে তাকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ৮টায় করিম মারা যায়।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আসলাম আলী বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত উভয় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ ২টি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মৃত সেরাজুলের শরীরে একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চিহ্ন দেখা গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য শহীদের মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এই বিষয়ে, থানায় আলাদা ২টি হত্যা মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।


















