সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ইকবাল হাসান নামের মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে চোর সন্দেহে বেধড়ক মারপিটের পর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
নিহত ইকবাল হাসান ওরফে ইউসুফ (১৯) উপজেলার সলঙ্গা থানাধীন ঘুড়কা নতুন পাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুল রশিদের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোঃ আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে সলঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। দায়ের করা অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৩ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে ঘুড়কা সমবায় পাম্প এলাকায় ইকবালকে পেয়ে চোর সন্দেহে অভিযুক্ত পাম্পের নাইট গার্ড বুদ্ধ মিয়া (৪০), পাম্পের ম্যানেজার আলাউদ্দিন (৪৫) ও আব্দুস সোবাহান (৩০) সহ কয়েকজন মিলে তাকে পাম্পের পেছনের একটা রুমে নিয়ে লোহার রড ও প্লাস দিয়ে পিটিয়ে আহত করে এবং কারেন্টের শক দিয়ে গুরুতর জখম করে।
গুরুতর অবস্থায় ইকবালকে প্রথমে রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিরাজগঞ্জ এবং পরবর্তী সময়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে নিহতের বাবা আব্দুল রশিদ জানান, আমার ছেলের মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। বাড়ি থেকে বের হয়ে সে ওই পাম্পের সামনে রাখা একটি গাড়িতে শুয়ে ছিল। আসামিরা চোর সন্দেহে তাকে বেধড়ক মারধর করে অজ্ঞান করে ফেলে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আসামিরা আমাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়েছে। তিনি জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
নিহতের চাচা নাসির বলেন, আমার ভাতিজাকে চোর সন্দেহে বেধরক মারপিট করে তারা খুন করেছে, এঘটনায় সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের হলেও এবং ঘটনার ১০ দিন পার হলেও পুলিশ খুনিদের আটক করেনি।
নিহত ইকবালের মা হাজেরা খাতুন বলেন, আমার টাকা চাইনা, ওরা আমার ছেলেকে খুন করছে বাবা, আমার কলিজাকে মেরে ফেলেছে, আমি ওদের ফাঁশি চাই।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা পলাতক থাকায় তাদের থেকে কোনে বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনায় আরেক আসামী মের্সাস সমবায় ড্রাইভার ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আলাউদ্দিন এর বিষয় জানতে চাইলে, মের্সাস সমবায় ডাইভার ফিলিং স্টেশনের সভাপতি শামিম মাস্টার মুঠোফোনে বলেন, নিহত ইকবালের মৃত্যুর ঘটনায় আমার ম্যানজার দায়ী নয় আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার জন্য আমার ম্যানেজারকে ফাঁসিয়েছে। আমরা কোর্টে গিয়ে জামিন নিব।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মুঠোফোনে বলেন,“ঘটনার পরপরই একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। ইতি মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


















