গত রবিবার (৫ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অনুষ্ঠিত পিঠা মেলায় অংশগ্রহণ করে টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউকে। স্থানীয় রয়্যাল রিজেন্সি হলে আয়োজিত এ পিঠা মেলার আয়োজন করে ION TV লন্ডন।
মেলায় পিঠা বিক্রির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ মানবিক কাজে ব্যয় করে টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউকে আবারও প্রমাণ করেছে যে, এটি একটি সামাজিক ও মানবিক সংগঠন।
গত বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে সংগৃহীত অর্থ থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের গল্লী গ্রামের ক্যান্সার আক্রান্ত মুক্তা বেগমের চিকিৎসার জন্য ১ লাখ ৬২ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়। মানবিক এ সহায়তার অর্থ মুক্তা বেগমের হাতে সরাসরি তার বাড়িতে গিয়ে হস্তান্তর করেন লন্ডন প্রবাসী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা মনোয়ার মোহাম্মদ। এ সময় মুক্তা বেগমের দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন গল্লী জামে মসজিদের ইমাম মো. আবু হানিফ।
উপস্থিত ছিলেন মির্জাপুর পাকুল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ড. রুবেল চৌধুরী, টাঙ্গাইল জেলা সিটিজেন জার্নালিস্ট গ্রুপের মুখ্য সংগঠক আকিবুর রহমান ইকবাল, অ্যাডভোকেট মো. জাহিদুর রহমান খান টিটু, গল্লী ইউনিয়নের বাবুল মিয়াসহ অনেকে।
পরবর্তীতে প্রতিনিধি দল গল্লী থেকে বাসাইল গিয়ে উত্তর চকপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদের নির্মাণকাজে সমিতির প্রেরিত ৩০ হাজার টাকা সহায়তা হিসেবে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি মনিরের হাতে হস্তান্তর করেন।
টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউকের বর্তমান কার্যকরী কমিটি ধারাবাহিকভাবে সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। যাঁরা পিঠা মেলায় অংশ নিয়ে এই মানবিক কার্যক্রমে সহযোগিতা ও অবদান রেখেছেন, তাঁদের প্রতি টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউকের কার্যকরী কমিটির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
সমিতির পক্ষ থেকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে—
শিবলী শহীদ খোশনবীশ, কামরুল ইসলাম সৈকত, অ্যাডভোকেট ইফাত আরা রোজি, ইমামুল আহসান সুমন, সৈয়দ আব্দুল আহাদ সবুজ, আমিনুল ইসলাম শহীদ, আওয়াল মিয়া, জাকির হোসেন খন্দকার, শামস তালুকদার তানজিল, শামীম আল মামুন, আরিফুর রহমান খান, সাব্বির হোসেন খান অন্তর, সাইদুল কাওনাইন শান, শামীমা নাসরিন তন্নী, হাফসা ইসলাম, সাবিনা ইয়াসমিন, নাজমুল আলম রাজীব, নওরিন সিদ্দিকা অরিন, শামসুল তালুকদার তারেক, মোবারক হোসেন জয় এবং আরও অনেকে।
এছাড়াও যাঁরা স্টলের জন্য পিঠা তৈরি করে সহযোগিতা করেছেন—
সৈয়দ আব্দুল আহাদ সবুজের মা রেনু বেগম, মাসুদ রানার স্ত্রী শিমু আক্তার, মেহেজেবীন রহমান খোশনবীশ, জাকির হোসেন খন্দকার ও সৈয়দ আফরুজা লাবনী, ইরফাত জাহান লাকি, কামরুল ইসলাম সৈকতের স্ত্রী মাঞ্জুবী আফরিন— তাঁদের প্রতিও সমিতির পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো হয়।