গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু বকর সিদ্দিক এর বিরুদ্ধে সময় টেলিভিশনে প্রচারিত “গাছকাটা সংক্রান্ত” সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (০৭অক্টোবর) এক লিখিত প্রতিবাদলিপিতে চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন “সময় টেলিভিশনে প্রচারিত ওই প্রতিবেদনটি সত্যের অপলাপ এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়। একটি কুচক্রী মহল আমার জনপ্রিয়তা, সততা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এই মিথ্যা সংবাদ প্রচার করিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি চলতি বছর উপজেলায় শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছি। আমার বিরুদ্ধে ‘গাছকাটা’ সংক্রান্ত যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মনগড়া ও অসত্য। একটি পক্ষ জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে অপতৎপর হয়ে উঠেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক আরও বলেন,“আমার চরিত্র হনন ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পলাশবাড়ীর সচেতন জনগণ এসব মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত হবেন না। সত্য একদিন নিজেই প্রকাশ পাবে এবং মিথ্যার মুখোশ খুলে যাবে।”
সময় টেলিভিশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,“ভবিষ্যতে যেকোনো সংবাদ প্রচারের আগে সংশ্লিষ্ট তথ্যের সত্যতা যাচাই করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর শান্তিপ্রিয় জনগণকে আমি আশ্বস্ত করছি আমার বিরুদ্ধে প্রচারিত বিভ্রান্তিকর সংবাদে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন। আমি জনগণের পাশে আছি, থাকব, এবং সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাব ইনশাআল্লাহ।”
শেষে চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন,“আমি সময় টেলিভিশনে প্রচারিত বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হীন মানসিকতাসম্পন্ন সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ধরনের অপেশাদার ও দায়িত্বজ্ঞানহীন সাংবাদিকতা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।