টাঙ্গাইলে জমি নিয়ে বিরোধ ও পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের করা মামলায় ফজলুল করিম ফরিদ (৫৫) কারাগারে রয়েছেন।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টাঙ্গাইল সদর আমলি আদালতের বিচারক বাদল চন্দ্র কর্মকার তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মৃত দানেশ আলীর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা গত ৪ আগস্ট টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছেলে ফরিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন (সিআর মামলা নং ১৮১৯/২০২৫)। অভিযোগে বলা হয়, ফরিদ সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য মাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন, শ্বাসরোধের চেষ্টা করেন এবং নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ও সম্পদের ক্ষতি সাধন করেন।
তবে ফরিদের স্ত্রী খুরশিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ভুয়া ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। পৈত্রিক সম্পত্তি বণ্টন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে চাচারা প্রতারণা করে মাকে দিয়ে মামলা করিয়েছেন।”
তিনি দাবি করেন, নিজের ছেলে মুক্তাদিরুল করিম রিয়াদ চাচাদের সঙ্গে মিলে বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ে ষড়যন্ত্র করেছে। “আমার ছেলে ফেসবুকে গালিগালাজ করে, এমনকি আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।”
খুরশিদা বেগম আরও জানান, পরিবারের অন্য সদস্যরা তাদের দখলে থাকা ১৪ শতাংশ জমি জোর করে নিয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি ১৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ফরিদের ছোট ছেলে রাথিউল করিম বলেন, “চাচারা জমি দখল করতে বাবাকে জেলে পাঠিয়েছে, মা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। এমনকি আমাদের বিরুদ্ধে আরেকটি হয়রানিমূলক মামলা হয়েছে (মামলা নং ৯০৯/২০২৫)।”
ফরিদের আইনজীবী মনসুর আহমেদ টিটু বলেন, “এটি হয়রানিমূলক মামলা। জমি দখলের জন্য ফরিদকে ষড়যন্ত্র করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদ জানান, “খুরশিদা বেগম জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, তবে পারিবারিক জটিলতার কারণে সমাধান সম্ভব হয়নি। সঠিক তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।”