মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) রাসেল হল ঘেঁষা খাল সংলগ্ন দেয়াল ধসে পড়া ঠেকাতে সম্প্রতি দেয়াল ঘেঁষে বালু ফেলা হয়েছে।
তবে এখানে পর্যাপ্ত ঢাল না থাকায় বালু দ্রুত সরে যাচ্ছে। ফলে টেকসই সমাধানের পরিবর্তে অল্প দিনের মধ্যেই বাঁধ আবার ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ প্রকল্পে প্রায় ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য অন্তত ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মুহাম্মদ ফারুক হোসাইন।
তিনি বলেন,”ফাইল করা হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে, কিন্তু অনুমোদন আসে জুনে এবং একই মাসে কাজ শেষ করার কথা- ফলে মাটি সংগ্রহের সময় পাইনি। বাজেট ফেরত না যাওয়ার চিন্তা থেকে আপাতত বালি দিয়েই বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। হিসাব শাখা যদি দ্রুত ফাইল পাশ করতো তবে আমরা সঠিক সময়ে কাজগুলো করতে পারতাম।
আমাদের বিল্ডিংগুলোর প্রজেক্ট সময় মতো করতে পারায় আশা করছি, ২-৩ বছরের মধ্যে নতুন প্রজেক্ট পাবো। রাসেল হল এক্সটেনশন প্রজেক্ট পেলে প্রথমেই এ কাজ করব।”
নির্বাহী প্রকৌশলী জাফর হায়দার বলেন,“হল প্রভোস্ট এখন আমাদের জানাচ্ছেন যে তারা দেয়াল সংস্কার চেয়েছিলেন। কিন্তু কাজ শুরু করার আগে আমাদের এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।”
সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. নাজমুল হোসাইন জানান,
“নতুন করে দেয়াল নির্মাণে প্রয়োজন প্রায় ৭ লাখ টাকা। বর্তমান বাজেটে শুধু বালু নয়- কাঁটাতার, পিলারসহ আনুষঙ্গিক খরচ ছিল। মাটির বস্তা বরাদ্দে ছিল না, কিছুটা আলাদাভাবে করা হয়েছে। আপাতত কলমী বা ঘাস লাগিয়ে টেকানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।”
রাসেল হল প্রভোস্ট ড. আবু রাশেদ বলেন,”হল থেকে আমরা বলেছিলাম, দেয়াল হেলে পড়ছে সেটার সংস্কারের ব্যবস্থা করতে। পরবর্তীতে বালু ফেলার সিদ্ধান্তে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। সাধারণ কমনসেন্স অনুযায়ী বললেও এখানে মাটি ফেলা উচিত ছিল। আমার মনে হয়, আমাদের ম্যান্ডেট নেওয়া হয়নি কিভাবে সংস্কার হবে। আমি এখনও প্রত্যয়ন করিনি। প্রত্যয়নের সময় দেখব আমরা কি চেয়েছিলাম আর প্রকৌশলীরা কী করেছেন। গত সপ্তাহে বৃষ্টিতে খাল ভরতে শুরু করেছে, আর বালি সরে যাচ্ছে।
আমি মৌখিকভাবে উনাদেরকে এটা জানিয়ে – উনারা উত্তর করেছেন আবারও বালু দিবেন। বালু দিলে, কন্ট্রাক্টর কাজ শেষে চলে গেলে সেটিও ধসে যাবে। তখন কী হবে?