সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করতে যান আনিছ (৩৮) ও রোকেয়া বেগম (৩২) নামে এক দম্পতি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) জন্মনিবন্ধনের কাগজপত্র, পিতা-মাতার নাম এবং চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নের সঙ্গে অসঙ্গতি ধরা পড়লে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিষয়টি ইউএনও কার্যালয়কে জানান।
পরে কামারখন্দের ইউএনও চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কারণ, ওই ইউএনও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিআইসি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে রোহিঙ্গাদের ভাষা বুঝতে সক্ষম হন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দম্পতি কোনো তথ্য না দিলেও পরে নিজেদের পরিচয় দেন কক্সবাজারের বালুখালি ক্যাম্প-১২ এর জি-৪ ব্লকের বাসিন্দা হিসেবে। তারা জানান, তাদের এফসিএন কার্ড নম্বর ৮০০৪২৫ এবং সাব-মাঝির নাম দিল মোহাম্মদ। পরবর্তীতে আরআরআরসি কার্যালয়ের মাধ্যমে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে,
উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ যেন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের প্রত্যয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্ক থাকেন। ভুলভাবে প্রত্যয়ন দিলে কোনো রোহিঙ্গা জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন তৈরি করলে আইনের দৃষ্টিতে সেই জনপ্রতিনিধিকেই দায়ী হতে হবে।