মোহাম্মদ শাহ এমরান, টেকনাফ (কক্সবাজার)
গত তিন মাস ধরে মিয়ানমার জান্তা সরকার ও বিদ্রুহিদের যুদ্ধ চলছে, আতঙ্ক টেকনাফ উখিয়া বাসী। সঙ্কটে আছে মিয়ানমারে খাদ্য সামগ্রী। মিয়ানমার অভ্যান্তরে হেলিকপ্টার মহড়া ও নিত্য দিন মর্টার শেল নিক্ষেপ ছুটে আসছে বাংলাদেশে অভ্যান্তরে আতঙ্কে সীমান্তের বসবাসকারী মানুষ।
খুজঁ নিয়ে জানা গেছে গত রাতে মিয়ানমার অভ্যান্তরে গভীর রাত শুরু হয় মর্টার শেল নিক্ষেপ ছুটাছুটির আওয়াজ হয় যা বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা কক্সবাজার সীমানা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। তারি ধারাবাহিক গত রাত সারা রাত ও সকাল ৭ টা পর্যন্ত মর্টার শেল আওয়াজে টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তে এলাকায় মানুষ ভয়ে আতঙ্কে আছে।
মিয়ানমার সংঘর্ষের জের ধরে রাখাইনের সীমান্ত এলাকা বাংলাদেশের তুমব্রু ও টেকনাফের গত তিন দিন আগে জিরো লাইনের কাছাকাছি মিয়ানমারের হেলিকপ্টার মহড়া দিতে দেখা গেছে । বিভিন্ন তথ্য মতে মিয়ানমার থেকে আবারও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা রয়েছে।
উখিয়া ও টেকনাফ মিয়ানমার সীমান্তে হাজার
টেকনাফ উখিয়া দফায় দফায় মর্টার শেল
গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার সীমান্ত এলাকায় মহড়া দিয়েছে ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বাজার উখিয়া ও টেকনাফা এলাকায় পালংখালী, হেয়াইক্যং, উনচিপ্রাং, ঝিমংখালী, খারাংখালী, হ্নীলা, নাজির পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকা থেকেই স্পষ্ট হেলিকপ্টার উড়তে দেখেছেন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
এর আগে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) টেকনাফের সীমান্তবর্তী এক বাড়ির দেয়ালে গুলি লেগেছে। সীমান্তের ওপারে গত কয়েক দিনে সংঘর্ষ বাড়ায় ও উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার কথা বলা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, টেকনাফের হ্নীলা চৌধুরী পাড়া, লেদা, ফুলের ডেইল, হোয়াব্রাং, মৌলভীবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় গত ভারি মর্টার শেল ও বেশি কিছু গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারি বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারে আবারো উত্তেজনা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন গুলির বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। গত শনিবার মায়ানমার থেকে ছোড়া গুলি আমার ইউনিয়নের এক বাসিন্দার ঘরে পড়ে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সীমান্তের কাছাকাছি বসবাস করা মানুষরা। ইতোমধ্যে অনেক মানুষ ঘর ছেড়েছে। মিয়ানমারে উত্তেজনা শুরু হলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে শঙ্কা থাকে। শুনেছি কিছু রোহিঙ্গা সীমান্তের কাছাকাছি আছে। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একজন রোহিঙ্গাকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমরা সব সময়ই সজাগ আছি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলি হচ্ছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরের ঘটনা। রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ নিয়ে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে সতর্ক করা হয়েছে।