নিউজ ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
এর আগে এদিন সন্ধ্যা ৭টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৈঠকে অংশ নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল। এ বৈঠকের পরই এমন সিদ্ধান্ত জানা যায়।
বৈঠকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর তিন সদস্যের একটি দল এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সিইসির নেতৃত্বে ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম।
বৈঠক শেষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সাংবাদিকদের বলেন, ১৩ দিনের জন্য, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত, সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের আলোচনা হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ হাজারের বেশি সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার যদি বেশি প্রয়োজন হয়, সেভাবেই মোতায়েন করা হবে। অবশ্যই সব সময় প্রস্তুতি আছে। গতবার ৩৮৮ উপজেলায় ছিল।
তিনি বলেন, তারা (নির্বাচন কমিশন) চাচ্ছে সেনা মোতায়েন হোক। কীভাবে মোতায়েন হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা রাষ্ট্রপতির কাছে রিকমেন্ডেশন করবে।
রাষ্ট্রপতি যদি সিদ্ধান্ত দেন, তবে অবশ্যই সেনা মোতায়েন হবে। তারা যেভাবে সহায়তা চাইবে, সেভাবেই আমরা সহায়তা করব।
তিনি আরো বলেন, তারা (ইসি) চাচ্ছে একটি সুন্দর সুষ্ঠু, ফ্রি-ফেয়ার একটি নির্বাচন হোক। এ বিষয়ে আমার সামান্য সন্দেহ নেই। তারা অত্যন্ত সিরিয়াস। আমরা সশস্ত্র বাহিনী যদি ডেপ্লয় (মোতায়েন) হই, আমরা অবশ্যই সাহায্য-সহায়তা করব। এটিই ছিল প্রারম্ভিক আলোচনা।
রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে আমরা অতীতের মতোই আবার ডেপ্লয় হবো। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় মোতায়েন হবো।
এর আগে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, জননিরাপত্তা বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন আলোচনা করেছে।
এক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনে কী করে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৭ লাখ সদস্য ভোটের মাঠে কাজ করবেন।
এর মধ্যে আনসার সদস্য ৫ লাখ ১৬ হাজার, পুলিশ ও র্যাবের ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১, কোস্টগার্ডের ২ হাজার ৩৫০, বিজিবির ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন নিয়োজিত থাকবেন।
নির্বাচনের তফসিল অনুসারে এখন চলছে মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।