নিউজ ডেস্ক :

রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় যুবদলের চার নেতাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মোবাইল ফোনে নাশকতার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) হারুন অর রশীদ।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। হারুন অর রশীদ বলেন গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মোবাইল ফোনে পাওয়া গেছে নাশকতার প্রমাণ। বাসে আগুন দেওয়ার পর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিএনপি নেতাদের ম্যাসেজ দিয়ে কনফার্ম করা হয়েছে। এমনটাই নির্দেশনা দেওয়া ছিল তাদের।তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ এখন আর কেউ অবরোধ মনে করছে না। কারণ, রাস্তায় যথেষ্ট গাড়ি আছে। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে।

নির্বাচন ঠেকাতে ও সরকার পতনের একদফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর থেকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এতে ১৭ দিনের কর্মসূচিতে যানবাহন কম চলাচল করায় আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা।

গতকাল গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত হরতাল-অবরোধের ১৭ দিনে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে পরিবহন খাতে ক্ষতি ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর হরতাল-অবরোধের কারণে যানবাহন কম চলাচল করায় এর আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৩৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সর্বমোট গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে ২৫৫টি।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে প্রথমে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। এরপর আবারও ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা।

১১ ও ১২ নভেম্বর চতুর্থ দফা, ১৫ ও ১৭ নভেম্বর পঞ্চম দফা এবং ২২ ও ২৩ নভেম্বর ষষ্ঠ দফায় অবরোধ কর্মসচি পালন করে দলটি। এখন চলছে সপ্তম দফা অবরোধ, যা চলবে আগামীকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত।

Exit mobile version