নিউজ ডেস্ক :

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব এখনও ভালোভাবে কাটেনি। এর মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।এ বিষয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে এর গতিপথ স্পষ্ট হবে। ঘূর্ণিঝড় হলে এর নাম হবে মিচাং। এই নামটি মিয়ানমারের দেওয়া।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে অস্থায়ী আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া সোমবারের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।তবে আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলছেন এটি বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানবে কিনা তা বলার অবস্থা এখনই তৈরি হয়নি। ঘূর্ণিঝড় হতে যে তাপমাত্রা থাকার কথা সেটি এখন না থাকায় বাংলাদেশে আঘাত হানার শঙ্কা কিছুটা কম।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায় সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা ও ভারতীয় উপমহাদেশের ওপর সাব-ট্রপিক্যাল জেট স্ট্রিমের অবস্থানের প্রভাবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে ২৮ থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে। গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা ২৯ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।

এটি ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ১ থেকে ২ তারিখের মধ্যে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকার জেলা এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী কোনো এলাকার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।

Exit mobile version