নিউজ ডেস্ক :

ঘূর্ণিঝড় হামুনকে কেন্দ্র করে বরগুনায় প্রস্তুতিমূলক সভা সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঘূর্ণিঝড় হামুনের বিষয় জানে না উপকূলের নদীর তীরবর্তী মানুষজন।

নদীর তীরবর্তী এলাকায় মানুষদের জন্য নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টারের ব্যবস্থা।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতিমূলক সভায় বরগুনার ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র ৩টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে বরগুনার নদী ও সমুদ্র তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিয়ে আসা হবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, জেলার ৪২টি ইউনিয়নে ৫০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

এ মেডিকেল টিমের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য বরগুনার সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে এবং স্ব স্ব কর্মস্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম।বরগুনায় ৯ হাজার ৬১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৪৩০ মেট্রিকটন চাল, ৯৬ বান্ডিল ঢেউটিন ও ২০০০ পিস কম্বল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে এই জেলার উপকূলে সাড়ে ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।

এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ। আর সতর্কতা সংকেত বৃদ্ধির পরই বরগুনার পাথরঘাটায় প্রচারণা শুরু করেছে কোস্টগার্ড।পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, জেলার ৬ উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২২টি পোল্ডারে ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে দুর্বল বা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে ১৩০০ মিটার। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এসব বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। তবে মোকাবিলার জন্য জিও ব্যাগ ও সিনথেটিক ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Exit mobile version