নিউজ ডেস্ক :
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে মনে হয় বাংলাদেশে সবাই যেন তার প্রজা। কিন্তু অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলার অধিকার নেই কারো।
যারা বলবে তাদের ঠিকানা কারাগার। তিনি একজন সফল জেলার বা কারারক্ষক।
সরকারের অত্যাচার ও লুটপাটের বিরুদ্ধে কথা বলায় শেখ হাসিনা আরও বেশি ক্রুদ্ধ ও বেপরোয়া হয়ে উঠে নিজের সাজানো আদালতকে লেলিয়ে দেয়। আদালতই এখন নাৎসির গোপন পুলিশ গেস্টাপো’র ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
গণতন্ত্রকামী মানুষকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আওয়ামী নাৎসি আদালত জুলুমের ভীতি তৈরি করে যাচ্ছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।
অভিযোগ করে রিজভী আরো বলেন, নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার কোনো তোয়াক্কা করে না শেখ হাসিনা।
বর্তমান নির্বাচনী আইন পরিবর্তনের পর কমিশনের ক্ষমতা আছে ২০ শতাংশেরও কম। আর বাকি ৮০ শতাংশ ক্ষমতা সরকারের হাতে।
এ নির্বাচন কমিশনের দ্বারা নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপিসহ বিরোধীদলকে মাঠছাড়া করার জন্য হিংস্র প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জন্যই নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।
তবে, আন্দোলনরত গণতন্ত্রকামী জনগণ বর্তমান গণবিরোধী শক্তি আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে বদ্ধপরিকর।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।
বাং ভ/অ