মানবতাবিরোধী অপরাধে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি মনে করেন, শেখ হাসিনাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় যে সাক্ষ্য ও প্রমাণ উঠে এসেছে, তা দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততার বিষয়টিও স্পষ্ট করে।
আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ তার জেরা শেষ হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারক মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
জেরা শেষে নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, “এটা কেবল ব্যক্তির সংগঠিত অপরাধ নয়, রাজনৈতিক অপরাধ। তাই আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা উচিত এবং ট্রাইব্যুনালের সে সুযোগ রয়েছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে জনগণের বিরুদ্ধে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ক্ষমতায় টিকে থাকতে। “ফলে এটা আওয়ামী লীগের সংগঠিত অপরাধ, দ্রুত দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন।”
ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলামও নাহিদের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, “নাহিদ যে কথাটা বলেছেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে; আইনে দল হিসেবে বিচার করার সুযোগ আছে।”
তিনি জানান, তদন্ত সংস্থার কাছে সরাসরি অভিযোগ এলে বা আদালতে ব্যক্তিগত মামলার সাক্ষ্যে দলীয় সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে, সংগঠন হিসেবেও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব। “সুয়োমটো করেও তদন্ত হতে পারে,” বলেন তিনি।
তাজুল আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও আন্দোলনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরাও সরাসরি অভিযোগ এনেছেন। তবে প্রসিকিউশন এখনও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তাজুলের ভাষায়, “ব্যক্তির বিচারের সময় যদি কোনো সংগঠনের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়, আদালত সে বিষয়ে আদেশ দিতে পারবেন। তবে সংগঠনকে আসামি করতে হলে আলাদা তদন্ত, চার্জশিট ও ফরমাল চার্জ প্রয়োজন।”
তিনি যোগ করেন, তদন্ত সংস্থা চাইলে আনুষ্ঠানিক তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারে এবং সেক্ষেত্রে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার সম্ভব হবে।


















