বাংলা ভয়েস ডেস্ক :
নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজিত এক কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে ছিলেন মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জোবায়দা নাসরিন।
এসময় আহত শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানান তারা।
আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আহত শিক্ষার্থীদের সংহতি জানাতে এসে মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ওপর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা এমন একটা বাংলাদেশ চাই যেদেশে সবাই যেন শান্তিপূর্ণভাবে সহ অবস্থান নিয়ে বসবাস করতে পারে। আমরা চাই, সরকার যেন আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন। এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের যেন চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হচ্ছে যারা জানান দিয়ে এ ধরনের হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন। আমরা বিশ্বাস করি, হামলাকারীদের কোনো মদদ দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাতে সারা দেশে একটি বার্তা চলে যাবে হামলাকারীদের মদদ দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই না এই ধরণের বার্তা যাক।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জোবায়দা নাসরিন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যেখানে বর্তমান সরকার গঠিত হলো সেখানে মূল লক্ষ্য ছিল প্রাপ্যতা, ন্যায্যতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার, সেখানে আমরা দেখেছি সরকার মবের কাছে পরাস্ত হচ্ছে। মব হলে ভয় পেয়ে সরকার লক্ষ্য থেকে বারবার দূরে সরে যাচ্ছে। এটা কোনোভাবেই আমরা কামনা করি না।