বাংলা ভয়েস ডেস্ক:

আওয়ামী সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা করবেন সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। একইসঙ্গে আরাফাতকে আটক করায় মিষ্টি নিয়ে গুলশান থানায় রওয়ানা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হিরো আলম।

এর আগে গত বছর ঢাকা-১৭ আসনে ২০২৩ সালের উপনির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হিরো আলম। নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ভোটের দিন হিরো আলমকে পিটিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। ওই দিনই হিরো আলম জানিয়েছিলেন তাকে পেটানো সেসব লোকজন আরাফাতের সমর্থক।
হিরো আলম বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমি ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রতিমন্ত্রী আরাফাতের নির্দেশে কিছু লোক আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। দায়িত্বরত পুলিশও আমার পাশে দাঁড়ায়নি। কোনো মতে বেঁচে ফিরেছিলাম।

মিষ্টি নিয়ে থানায় কেনো- এমন প্রশ্নের জবাবে আলম বলেন, ‘আমি জেনেছি তিনি গুলশান থানায় আছেন। তাই থানার সামনে গেয়ে মিষ্টি বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটাই আমার কাছে বড় প্রতিবাদ ও আনন্দের বিষয়। এদিকে মোহাম্মদ আলী আরাফাতের বিরুদ্ধে আগামীকাল (বুধবার) কোর্টি গিয়ে মামলা করার কথাও জানান হিরো আলম।

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. তাহিদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য ৪৭ জনের সঙ্গে তিনি আসামি। এছাড়াও একইরকম আরও কয়েকটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।

আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন “থিংক ট্যাংক” হিসেবে কাজ করছেন। আগে বিভিন্ন টেলিভিশন টকশোতে দলের হয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আশরাফুল আলমকে (হিরো আলম) হারিয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

Exit mobile version