বাংলা ভয়েস ডেস্ক :
গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতায় পৌঁছে যাওয়ায় শনিবার রাতে গেট খুলে দেয়ার কথা রয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিপাত এবং ভারতের ত্রিপুরা থেকে উজানের নেমে আসা ঢলে বাংলাদেশের অন্তত ১১ জেলার মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী এসব জেলায় বন্যার কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে।
এদিকে, পানি নামতে শুরু করলেও এখনও তিন উপজেলা সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। রাতে খোলা হতে পারে কাপ্তাই বাধেঁর গেট
কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদ সীমার একদম কাছাকাছি চলে যাওয়ায় কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ের গেট খুলে দেয়া হবে।
কাপ্তাই উপজেলার চেয়ারম্যান মো. মাফিজুল হক তিনি বলেন, কাপ্তাই লেকে ১০৭ ফুট এমএসএল পর্যন্ত পানি ওঠা মানে পানি বিপদসীমা ছুঁয়েছে। সেখানে বর্তমানে লেকে ১০৬ ফুট এমএসএল পর্যন্ত পানি উঠেছে। এমন অবস্থায় শনিবার রাতে কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি স্পিলওয়ের গেট ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত খুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীতে এখন পানি প্রবাহ কম থাকায় এই গেট ছাড়ার ফলে স্থানীয়দের কোন ধরনের দুর্ভোগে পড়তে হবে না।
“পানি বিপদসীমায় উঠে গেলে গেট খুলে দিতেই হবে। এখন বিপদ সীমার একদম কাছে পৌঁছে গিয়েছে, এখন যদি আমরা ছয় ইঞ্চি করে সবগুলো গেট খুলে দেই, তাহলে পানি নদীতে চলে যাবে, বন্যার কোন আশঙ্কা নেই। আমি গত ৬৫ বছর ধরে এখানে থাকি। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।
দ্রুত সময়ে যদি কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়া না হয়, তাহলে কাপ্তাই হ্রদ-সংলগ্ন অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে, এমন আশঙ্কার কথাও জানান তিনি।
এদিকে স্পিলওয়ের গেট খুলে দেয়ার খবরে স্থানীয়রা যেন আতঙ্কিত না হন সেজন্য আশেপাশের ভাটি অঞ্চল যেমন রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। তাদের বলা হচ্ছে, নদী তীরবর্তী মানুষেরা যেন নিরাপদ আশ্রয়ে যান, এর বাইরে সবাই সতর্ক থাকবেন, আতঙ্কিত হবেন না।